বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর ধর্ষণ খুন মামলার শুনানি হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে দুপুর ২টো নাগাদ শুনানি শুরু হয় (Supreme Court)। এদিন তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দেয় সিবিআই। হলফনামা জমা দেয় রাজ্য।
জাতীয় টাস্ক ফোর্সের কাছে খুশি নয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)?
এদিন টাস্ক ফোর্স নিয়ে জানতে চান শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। জিজ্ঞেস করেন, টাস্ক ফোর্স কী করছে? শেষ বৈঠক কবে হয়েছে? উত্তরে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখ শেষ বৈঠক হয়েছে। এরপর এক মাসের অধিক সময় অতিক্রান্ত। এই সময়কালে কেন বৈঠক হল না? জানতে চায় আদালত।
জবাবে সলিসিটর জেনারেল জানান, সচিব ছুটিতে ছিলেন। একথা শোনার পর শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) নির্দেশ, প্রত্যেককে নিয়মিত বৈঠকে বসতে হবে। শুধু তাই নয়, ৩ সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশও দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুনঃ সঞ্জয় একা নয়! আরজি কর কাণ্ডে জড়িত আরও কেউ? সুপ্রিম কোর্টে CBI যা জানাল … তোলপাড়
এদিন পশ্চিমবঙ্গের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো, শৌচাগার, বিশ্রামকক্ষ তৈরির কাজ কতদূর এগিয়েছে তা জানতে চায় শীর্ষ আদালত। রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই অনেকটা কাজ হয়েছে। বাকি কাজ আগামী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। তবে আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) কাজ শেষ হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য জানায়, বর্তমানে আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। সেখানে কাজ করতে গেলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অনুমতি দরকার। সেই অনুমতি আসার পর কাজ শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কাজ আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানায় রাজ্য।
এদিন রাত্তিরের সাথী প্রকল্পে সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন করেন, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কে নিয়োগ করে? কীভাবে নিয়োগ করে? রাজ্যে সিভিক ভলেন্টিয়ারের সংখ্যা কত? রাজ্যের তরফ থেকে জবাবে বলা হয়, সরকারি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হয়। দীপাবলির পর ফের আরজি কর মামলার সুপ্রিম শুনানি হবে।