বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার ষষ্ঠ শুনানি হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে এই শুনানি হয় (Supreme Court)। স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই, অন্যদিকে হলফনামা দেয় রাজ্য। গতকালের শুনানিতে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো, শৌচাগার, বিশ্রামকক্ষ তৈরির কাজ কতখানি এগিয়েছে তা জানতে চায় আদালত।
আরজি কর মামলার শুনানিতে সুপ্রিম (Supreme Court) নির্দেশ!
এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) বলেন, ‘রাজ্য সরকার নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে, আগামী ১ নভেম্বরের মধ্যেই ইন্টিগ্রেটেড হেলথ মেডিক্যাল সিস্টেম চালু করবে। পরিকাঠামো যাতে যথাযথ হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে’।
পাল্টা রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়, নতুন করে রোগী কল্যাণ সমিতি তৈরি করা হয়েছে। ইন্টিগ্রেটেড হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম রোল আউট করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই অনলাইন বেড রেফারাল ব্যবস্থাও চালু করা হয়েছে। আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে এই ব্যবস্থাকে লাগু করার কথা বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ এটা কী হচ্ছে! ভরা মঞ্চে রচনাকে বকা মুখ্যমন্ত্রীর! আচমকা কী হল? হু হু করে ভাইরাল ভিডিও
এদিনের শুনানিতে আইনজীবী করুণা নন্দী জানান, রাত্তিরের সাথীর ক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশ না মেনে ল অ্যান্ড অর্ডারের কাজে সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer) ও সাধারণ মানুষদের নিয়োগ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি অনুরোধ করেন, সিকিউরিটি অডিট কমিটিতে যদি সিনিয়র চিকিৎসকদের রাখা যায়।
পাল্টা রাজ্যের আইনজীবী বলেন, দেশের প্রত্যেক হাসপাতালে একই নিয়ম মেনে নিয়োগ হয়। দিল্লিতে যে নিয়ম মেনে নিয়োগ হয়, কলকাতাতেও সেটাই। এদিকে সিনিয়র আইনজীবী করুণা নন্দী সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই রাজ্যকে বেশ কিছু নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
কলকাতা ও রাজ্যে মোট কতজন সিভিক ভলেন্টিয়ার রয়েছেন? কোন আইনে তাঁদের নিয়োগ? তাঁদের যোগ্যতা? কীভাবে নিয়োগ করা হয়? দৈনিক এবং মাসিক বেতন কত? রাজ্যের কাছে জানতে চায় সর্বোচ্চ আদালত। আগামী শুনানিতে সম্পূর্ণ বিষয়টি লিখিত হলফনামা দিয়ে রাজ্যকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন পশ্চিমবঙ্গের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো, শৌচাগার, বিশ্রামকক্ষ তৈরির কাজ কতখানি এগিয়েছে তা জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। রাজ্য জানায়, ইতিমধ্যেই অনেকটা কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকিটা ২৫ অক্টোবরের মধ্যে হয়ে যাবে। তবে আরজি করের কাজ ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়। কেন একটু বেশি সময় লাগবে সেটাও জানিয়েছে রাজ্য।