বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের ঘটনায় জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। এখনও অবধি এই কাণ্ডে গ্রেফতারির সংখ্যা তিন। সঞ্জয় রায়ের পর গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে। তবে ধর্ষণ খুনের এই ঘটনায় (RG Kar Case) কি সঞ্জয়ই একমাত্র অপরাধী? এই প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে। এবার জানা যাচ্ছে, আদালতে লিখিত দিয়েছে সিবিআই!
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) নয়া মোড়?
ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনায় সঞ্জয়কে (Sanjay Roy) অন্য কেউ প্ররোচনা দিয়েছিল কিনা সেটা তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, সম্প্রতি শিয়ালদহ আদালতে লিখিত আকারে কেন্দ্রীয় এজেন্সি এমনটা জানিয়েছে বলে খবর। একইসঙ্গে ধৃত এই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে কেউ আশ্রয় দিয়েছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি মৃতদেহ উদ্ধারের দিন কেন আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছিল সেই বিষয়টাও তদন্ত করে দেখছেন গোয়েন্দারা।
এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, সিবিআই (CBI) আধকারিকদের অনুমান সঞ্জয়ের ঘাড়ে খুনের দায় চাপানোর জন্যই তাঁকে সেই রাতে চারতলার সেমিনার রুমে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে হত্যা করে সেটার থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই তাঁর ধর্ষণের পরিকল্পনা করা হয় বলে দাবি করা হয়েছিল ওই প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুনঃ ঈদের বোনাস ৬০০০, দুর্গাপুজোর ৩৬০০! বোনাস ‘বৈষম্য’ নিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা তরুণজ্যোতির
ওই রিপোর্টে বলা হয়, পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ এবং হাসপাতালের কর্মীদের বয়ান অনুযায়ী সিবিআই গোয়েন্দাদের অনুমান, ওই তরুণী চিকিৎসককে প্রাণে শেষ করাই অপরাধীর আসল লক্ষ্য ছিল (RG Kar Case)। সবটা খতিয়ে দেখার পর তদন্তকারীরা মনে করছেন, আহত করে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসককে চারতলার ওই সেমিনার রুমে রেখে আসা হয়। এরপর তাঁর ওপর যৌন নির্যাতন চালায় সঞ্জয়। পরবর্তীতে হয়তো কারোর নির্দেশে তাঁকে শ্বাসরোধ করে শেষ করে দেয় সে।
আরজি কর হাসপাতালের চার দেওয়ালের ভেতর কী হয়েছিল আপাতত সেটা জানতে মরিয়া সিবিআই। কোমর বেঁধে ধর্ষণ খুনের এই ঘটনার (RG Kar Case) তদন্তে নেমে পড়েছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই সামনে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। আগামীদিনে এই ঘটনার তদন্তে আর কী কী বিষয় উঠে আসে সেটাই দেখার।