বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) ঠিকানা বর্তমানে জেল। সেখানেই দিন কাটছে তাঁর। এদিন ফের একবার শিয়ালদহ আদালতে জামিনের আবেদন করলেন তিনি। এর আগেও জামিনের আবেদন জানিয়েছেন আরজি করের সাবেক অধ্যক্ষ। তবে কোনও লাভ হয়নি। সোমবার সন্দীপের জামিনের আর্জির প্রেক্ষিতে বড় মন্তব্য করলেন বিচারক।
আদালতে ফের জামিনের আবেদন সন্দীপের (Sandip Ghosh)!
আরজি কর চিকিৎসক ধর্ষণ খুন মামলার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। ইতিমধ্যেই এই মামলার ট্রায়াল শুরু হয়েছে। সোমবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির আইনজীবী আদালতে জানান, ৫টি ডিভিআর এবং ৫টি হার্ড ডিস্ক সেন্ট্রাল ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে। তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ হবে। সিবিআইয়ের কথায়, আরজি কর কাণ্ডের আগে সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের কোনও যোগাযোগ ছিল কিনা সেটা জানা দরকার।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির আইনজীবী জানান, আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খুঁজে বের করার জন্য এই তথ্য জানা প্রয়োজন। একইসঙ্গে তিনি পরিষ্কার করে দেন, সিবিআইয়ের কারোর প্রতি ব্যক্তিগত রাগ অথবা আক্রোশ নেই। ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এখন সন্দীপদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের সময় প্রদান করা হোক। তদন্তের অগ্রগতি কতটা সেটা কেস ডায়েরি দেখলেই বোঝা যাবে।
আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডের রেশ কাটেনি! এবার নার্সকে হেনস্থার অভিযোগ! অভিযুক্ত TMC কাউন্সিলর
পাল্টা সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) এবং অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবীর বক্তব্য, সন্দীপ-অভিজিতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং খুনের চার্জ নেই। শুধুমাত্র তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও এখনও অবধি তার কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি সিবআই। আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, ষড়যন্ত্র যদি হয়ে থাকে…! অর্থাৎ ষড়যন্ত্র নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে অনুমানের ভিত্তিতে কাউকে আটকে রাখা যায়?
সন্দীপ, অভিজিতের আইনজীবীর বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট মনিটর করছে, দাবি সিবিআইয়ের। তবে শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি স্রেফ স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা করছে। সর্বোচ্চ আদালত কোনও নির্দেশ কিংবা আদেশ দেয়নি। এমনকি জামিন দিতেও বারণ করেনি। সন্দীপ (Sandip Ghosh), অভিজিতের আইনজীবীর কথায়, আরজি করের এই মামলায় কোনও নতুন ধারা যোগ করা হয়নি। ৬৫ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনও চার্জশিট জমা পড়েনি। যেহেতু ৬০ দিন হয়ে গিয়েছে, তাই জামিন মিলতেই পারে।
উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর আদালতের বিচারক বলেন, ‘তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য যদি আলাদা কোনও মামলা হতো, তাহলে ৭ দিন অতিক্রম করে গিয়েছে, তাঁরা জামিন পেতেই পারতো। কিন্তু তাঁদের মূল মামলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। সেই কারণে এই মামলায় জামিন নিতে গেলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে’।