বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগস্ট মাসে এই দিনেই আরজি কর হাসপাতাল থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। দেখতে দেখতে একমাস কেটে গেলেও রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ এখনও চলছে। সেই সঙ্গেই বহাল জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি (RG Kar Case)। যদিও আজ সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ মেনে কী আগামীকাল কাজে ফিরবেন তাঁরা? এবার মুখ খুললেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
কর্মবিরতি প্রত্যাহার নিয়ে কী বললেন জুনিয়র ডাক্তাররা (RG Kar Case)?
এদিন সকালে যখন সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছে, তখন আরজি করের বাইরের জায়ান্ট স্ক্রিনে চোখ ছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের পুনরায় কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন। এই বিষয়ে এক প্রতিবাদকারী ডাক্তার বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে যা নির্দেশ দিয়েছে, সেটাকে সম্মান করে আমাদের কিছু কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে’।
- রোগী মৃত্যু নিয়ে কী বলছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা?
এখানেই না থেমে ওই ডাক্তার আরও বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেটা সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলার পর সিদ্ধান্ত নেব। তবে তদন্তে আমরা খুশি নই। কী পেল, কী অগ্রগতি হল, সেটা বুঝতে পারছি না’। আজ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ইতিমধ্যেই কোনও চিকিৎসা না পেয়ে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ৬ লক্ষ রোগী সংকটে।
আরও পড়ুনঃ ৯০ ডিগ্রিতে দু’পা! ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে কেন ‘সোয়াব’ সংরক্ষণ হল না? আরজি কর মামলায় বিরাট মোড়
রোগী মৃত্যু প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী ডাক্তাররা (RG Kar Case) বলেন, ‘২৩ জন মারা যাওয়ার কথা বলে দেওয়া হচ্ছে। তবে এটার আরও বিশ্লেষিত তথ্য দরকার। কারণ আগের মাসেও এমন মৃত্যু হয়েছে। র্যানডম বলে দেওয়া যায় না। রোগী দেখা বন্ধ নেই। সিনিয়র চিকিৎসকরা প্রচুর পরিশ্রম করছেন। সকল রোগীদের দেখা হচ্ছে’।
প্রতিবাদকারী ডাক্তাররা বলেন, ন্যায়বিচারের জন্য তাঁদের এই লড়াই (RG Kar Case)। কিন্তু আজকের শুনানিতে মনে হচ্ছে সেটাতে আরও অনেক সময় লাগবে। আগামীদিন কতদিন অপেক্ষা করতে হবে সেটা জানেন না বলে দাবি করেন তাঁরা। একইসঙ্গে জানান, আজকের শুনানিতে তাঁরা হতাশ। কাজে ফেরা নিয়ে বলেন, জিবি মিটিং হবে। এরপর কলেজে কলেজে বৈঠক হবে। এরপর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেটা নির্ধারণ করা হবে।