বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৯ আগস্ট। আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। জানা যায়, ধর্ষিতা হয়ে খুন হয়েছেন তিনি। সেদিন ওই একই হাসপাতালে নিহত ডাক্তারের ময়নাতদন্ত করা হয়। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। যে হাসপাতাল থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে কেন পোস্টমর্টেম হল? দেখা দিয়েছে এই প্রশ্ন (RG Kar Case)। একইসঙ্গে অভিযোগ, ময়নাতদন্তে সন্দেহভাজন অনেকেই উপস্থিত ছিলেন!
নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের নথিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের সই (RG Kar Case)!
এসব নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছে। তাতে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পাল্টা দাবি করা হয়, তিলোত্তমার ময়নাতদন্তের নথিতে প্রতিবাদকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) স্বাক্ষর ছিল। সেই নথি ত্রুটিপূর্ণ হলে, সেখানে কেন তাঁর সহকর্মী তথা আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা সই করলেন? এই নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসকদল তাঁদের ‘দ্বিচারিতা’ নিয়ে সরব হয়েছে। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ।
সোমবার আরজি কর মামলার (RG Kar Case)) সুপ্রিম শুনানি শেষে দীর্ঘক্ষণ জিবি মিটিং করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপর আজ ভোরে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন তাঁরা। ফের একবার পূর্ণ কর্মবিরতিতে ফেরার কথা জানানোর পাশাপাশি তিলোত্তমার ময়নাতদন্তের নথিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের সই নিয়েও কথা বলা হয়।
আরও পড়ুনঃ ‘৩ অক্টোবরের মধ্যে…’! তৃণমূল নেতার মেয়েকে নিয়ে কুমন্তব্য! বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের
আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের অন্যতম মুখ কিঞ্জল (Kinjal Nanda) এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘৯ আগস্ট সকালে আমরা প্রথম খবর পাই চেস্ট বিভাগের সেমিনার রুমে একজন পিজিটি ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। সেখানে গিয়ে আমরা বুঝতে পারি, আত্মহত্যা নয়, তাঁকে খুন করা হয়েছে। তখনই ময়নাতদন্তের জন্য আমরা চাপ দিই। আমরা চেয়েছিলাম, একটা খুনের ঘটনাকে যাতে আত্মহত্যার দিকে গড়িয়ে না দেওয়া হয়। ময়নাতদন্তের নথিতে আমাদের সই ছিল। তবে সেটা নিয়ে অযথা বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে’।
কিঞ্জল আরও বলেন, ‘ময়নাতদন্ত নিয়ে সমাজমাধ্যমে কিছু বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে ওই ডাক্তারের ময়নাতদন্ত হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করা হয়। ওখানে জুনিয়র চিকিৎসকদের স্বাক্ষর থাকলেও ময়নাতদন্তে স্বচ্ছতার দায় আমাদের নয়। ওই ঘটনাকে যাতে কোনও ভাবে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে না দেওয়া হয়, আমরা সেটাই চেয়েছিলাম। আমাদের স্বল্প জ্ঞানে সেই চেষ্টাই করি। সমাজমাধ্যমে যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, সেটার তীব্র নিন্দা জানাই’।
এদিকে আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) পর থেকে কর্মবিরতিতে ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কয়েকদিন আগে জরুরি পরিষেবায় যোগদান করেছিলেন তাঁরা। তবে গতকাল সুপ্রিম শুনানির শেষে ফের কর্মবিরতিতে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। ১০ দফা দাবি সামনে রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির পথে হেঁটেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।