বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় (Sanjay Roy)। আগামী সোমবার তাঁর সাজা ঘোষণা করবে শিয়ালদহ আদালত। চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার ১৬২ দিন পর এই রায় এসেছে। এই আবহে এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI) বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ আনল নির্যাতিতার পরিবার।
সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ তিলোত্তমার মা-বাবার (RG Kar Case)?
গতকাল আরজি কর মামলার রায় ঘোষণার সময় শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস জানান, কেন্দ্রীয় এজেন্সির পেশ করা প্রমাণে তিনি সন্তুষ্ট হয়ে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করছেন। জানা যায়, রায়দানের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা। বিচারক দাসকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তবে সন্ধ্যায় একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, সিবিআই তদন্তে তাঁরা সন্তুষ্ট নন।
আরজি কর মামলায় (RG Kar Case) সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্বন্ধে যেন নির্যাতিতার পরিবারকে জানানো হয়। তবে তিলোত্তমার মায়ের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁদের কিছুই জানাচ্ছে না। জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁরা বলেন, ‘আগে আমরা ফোন করলে সিবিআই ধরত, এখন সেটাও ধরে না। এই জন্য আমাদের বিশ্বাস উঠে গিয়েছে’।
আরও পড়ুনঃ আর মিলবে না বকেয়া DA! হবে বিরাট ক্ষতি! সরকারি কর্মীদের জন্য খারাপ খবর
অন্যদিকে নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, শিয়ালদহ আদালতে (Sealdah Court) সিবিআই যখন চার্জশিট জমা দিয়েছিল, সেই বিষয়ে তাঁদের জানানো হয়নি। তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্বন্ধে তাঁরা অন্ধকারেই ছিলেন। তিলোত্তমার বাবার কথায়, ‘খালি বলছে, এগোচ্ছে। কী এগোচ্ছে আমরা সেটা দেখতে পাইনি’।
তিলোত্তমার মা দিন বলেন, ‘সিবিআই এখনও ক্রাইম সিনই বুঝে উঠতে পারল না। সিএফএসএল রিপোর্ট বলছে, সেমিনার ঘটনার অকুস্থল নয়। পুলিশ ৫ দিনে যেটা করেছে, সিবিআইও সেটাই করছে। অথচ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার ওসির বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করতে পারল না’।
আরজি করের (RG Kar Case) নির্যাতিতার পরিবার এদিন স্পষ্ট জানায়, তাঁরা সিবিআই চাননি। বরং হাইকোর্টের নজরদারিতে বিশেষ অফিসারকে দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত চেয়েছিলেন। তাঁদের কথায়, ‘হাইকোর্ট তো প্রথমে শুনেই সিবিআইকে দেয়। তবে সত্যি কথা বলতে আমরা সিবিআই চাইনি। আমরা চেয়েছিলাম, হাইকোর্টের নজরদারিতে বিশেষ অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করাতে। হাইকোর্ট সিবিআইকে ভালো মনে করে তদন্ত করতে দেয়’।