বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনায় পরতে পরতে রহস্য! সম্প্রতি জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিবিআই দফতর থেকে বেরনোর সময় আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাস বলেন, নিহতের তড়িঘড়ি ময়নাতদন্তের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল! জলদি ময়নাতদন্ত না করলে রক্তগঙ্গা বইবে, নির্যাতিতার (RG Kar Case) ‘কাকা’র পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি এই কথা বলেছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। এবার মুখ খুললেন তিলোত্তমার ‘সেই কাকা’!
কী বললেন নির্যাতিতার ‘কাকা’ (RG Kar Case)?
সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ওই ব্যক্তি বলেন, তাঁকে ‘ট্রিগার’ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, তিলোত্তমার ‘কাকা’ প্রাক্তন কাউন্সিলর (Councilor)। সেই সঙ্গেই নির্যাতিতার প্রতিবেশী। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী হিসেবে আমি বার্নিং সার্টিফিকেটে সই করেছিলাম। কারণ তিলোত্তমার বাবা-মায়ের সেই অবস্থা ছিল না। আমি এমন কোনও কেউকেটা নই যে আমার কথায় তাড়াতাড়ি ময়নাতদন্ত হয়ে গেল’।
- ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপককে তোপ দাগলেন তিলোত্তমার ‘কাকা’!
এদিন ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাসকে পাল্টা তোপ দাগেন আরজি করের কাণ্ডের (RG Kar Case) নির্যাতিতার সেই প্রতিবেশী। তিনি বলেন, ‘যিনি বলেছেন, ভুল বলেছেন। একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে এভাবে বলছেন, এটা খুবই লজ্জার ব্যাপার। বাড়ি ফিরে আইনের সাহায্য নিচ্ছি। কীভাবে এমন কথা উঠছে আমি বুঝতে পারছি না’।
আরও পড়ুনঃ গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত! এবার এই ‘রাঘব বোয়াল’কে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট! তোলপাড়
ওই ব্যক্তি জানান, আরজি করের নিহত ডাক্তার তাঁর মেয়ের বয়সী। এফআইআর-টাও তিনিই লিখে দিয়েছিলেন। যদি কোনও অভিসন্ধি থাকতো, তাহলে এফআইআর (FIR) লিখতেন না বলে দাবি করেছেন তিনি। একইসঙ্গে প্রশ্ন ‘তিলোত্তমার বাড়ির কেউ অভিযোগ করছেন না তো?’
তিলোত্তমার ‘কাকা’কে নিয়ে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা বলেন, উনি বাম জমানার নেতা, বর্তমানে তৃণমূল (TMC) করেন। এলাকার সাবেক কাউন্সিলর। এলাকাবাসীরা এমনটাই জানিয়েছেন। নিহত চিকিৎসকের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘এলাকায় মানুষের পাশে থাকেন। আমরা তো খারাপ কিছু দেখিনি। এখন তো টিভিতে এসব দেখলাম। অবাকই লাগছে! ওনার মতো লোক এমনটা কেন বলতে গেলেন? ভেবে অবাক লাগছে?’
আরও এক স্থানীয় যুবক ‘দরাজ সার্টিফিকেট’ দিয়েছেন তিলোত্তমার ‘কাকা’কে (RG Kar Case)। তিনি বলেন, ‘লোক হিসেবে দেখেছি, এতদিন ধরে আমরা পাড়ায় রয়েছি। উনি তো ভালো মানুষ, ভালো লোক’। আর এক ব্যক্তি বলেন, তিনি তিলোত্তমার ‘কাকা’কে চেনেন। তবে কেমন লোক সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এদিকে অপূর্ব মুখ খোলার পর ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডেলে একটি দীর্ঘ পোস্ট করে দাবি করেন, চিকিৎসককে ‘রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার’ কথা বলা সেই ব্যক্তির নাম সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। পানিহাটি পুরসভার প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর। বর্তমানে তৃণমূলের অংশ এবং পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছেন বিজেপি বিধায়ক।