দুর্গাপুজোয় মাটি দেব না! RG Kar-এর তরুণী হত্যায়, অভিনব প্রতিবাদ সোনাগাছির

বাংলা হান্ট ডেস্ক : আরজিকরের (RG Kar) তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদের আঁচ গিয়ে পড়েছে গোটা দেশে। বাংলার মেয়ের বিচার চেয়ে সরব এখন গোটা দেশবাসী। পথে নেমে দলে দলে প্রতিবেদ মিছিলে শামিল হওয়ার পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন রাজ্যের  বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন।

দুর্গাপুজোয় মাটি দেবে না সোনাগাছি (Sonagachi)

এই পরিস্থিতিতে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে এবছরের দুর্গাপুজোয় (Durgapujo) মাটি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোনাগাছির (Sonagachi) রেড লাইট এলাকার যৌনকর্মীরা। যদিও এই প্রথম নয় এর আগেও নিজেদের পেশাকে শ্রম তালিকায় রাখার দাবিতে মাটি দেননি সোনাগাছির (Sonagachi) যৌনকর্মীরা (Sex Workers)। আর এবার এই তালিকায় যুক্ত হল নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।

আরজিকরের তরুণীর সাথে ঘটে যাওয়া নক্ক্যারজনক ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ ই আগস্ট মেয়েদের রাত দখলের রাতে পথে নেমেছিল সোনাগাছি (Sonagachi)। আর এবার আরও একবার নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ জানাতে দুর্গাপুজোয় মাটি দিতে আপত্তি তুললেন যৌনকর্মীরা।

পতিতালয়ের মেয়েদের নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংগঠন ‘দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি’র সেক্রেটারি তথা পেশায় যৌনকর্মী বিশাখা লস্কর এ প্রসঙ্গে বলেছেন,‘বছরের চার দিন নয়, ৩৬৫ দিনই আমরা সামাজিক স্বীকৃতি চাই। আর জি করের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা তো বটেই, রাজ্যে ও দেশে সমস্ত নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মাটি না দেওয়াই আমাদের হাতিয়ার।’

আরও পড়ুন : কেন ‘ধর্ষণ’ করে ‘খুন’ করা হয়েছিল আর জি করের চিকিৎসককে? তদন্তের পর সবটা ‘ফাঁস’ করল CBI

সেইসাথে এদিন তিনি প্রশ্ন তুলেছেন,’নারী নিগ্রহের কত ঘটনাই তো ঘটে। ক’জন সুবিচার পান? এই সব ঘটনা থামানোর সময় এসেছে। তাই আমরা দুর্গাপুজোর জন্য যৌনপল্লি থেকে মাটি দেব না, যত ক্ষণ না সেই সব ঘটনার সুবিচার হচ্ছে।’

Sonagachi

সেইসাথে বিশাখা জানিয়েছেন আরজিকরের তরুণী হত্যার প্রতিবাদে ১৪ অগস্ট মেয়েদের রাত দখলে কলেজ স্ট্রিটে পোস্টার সমেত হাতে মোমবাতি, মশাল নিয়ে জমায়েত করেছিলেন তাঁরাও। স্লোগান দিয়েছিলেন ‘বিচার চাই’ ও দেন। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। এত সহজে যাতে এই প্রতিবাদের আগুন নিভে না যায় তারই জন্য এবার নিজেদের ঘর থেকে দুর্গাপুজোর জন্য মাটি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর