বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে তত সামনে আসছে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য। একইসঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে নানান প্রশ্ন। কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে আগেই এফআইআর দায়েরের সময় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। সকাল ১০টা নাগাদ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও কেন রাত ১১:৪৫ নাগাদ এফআইআর দায়ের করা হল (RG Kar Case)? প্রশ্ন করেছিল আদালত। শুক্রবার এই ঘটনার এফআইআরের কাগজ প্রকাশ্যে আসতেই দানা বেঁধেছে আরও কিছু বিতর্ক।
আরজি কর ঘটনার (RG Kar Case) এফআইআর নিয়ে নয়া বিতর্ক!
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের নিথর দেহ উদ্ধারের পর টালা থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। ৫২ নং এফআইআরের (FIR) ‘ফার্স্ট কন্টেন্টস’ কলমে লেখা, অজ্ঞাতপরিচয় কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্ষণ ও খুন করেছে। ৫৭৭ নং জেনারেল ডায়েরির ভিত্তিতে ৯ আগস্ট রাত পৌনে ১২টা নাগাদ এই এফআইআর দায়ের করা হয়। পুলিশের তরফ থেকে যে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছিল, সেই ৮৬১ নং আনন্যাচারাল ডেথ কেসের কথাও এখানে উল্লেখ করা আছে।
- আইনি পরিভাষায় ‘উইলফুল রেপ’এর অর্থ কী?
ওই ঘটনায় ধারা হিসেবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ এবং ১০৩ (১) লেখা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪ হল ধর্ষণের ধারা এবং ১০৩ (১) হল একজনের দ্বারা সংগঠিত হত্যার ধারা। এফআইআর বলছে, পরিবারের থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতেই এই এফআইআর করা হয়েছে। এদিকে নির্যাতিতার পরিবার বলছে, টালা থানার ওসিকে তাঁদের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, তাঁদের একমাত্র সন্তানের ওপর নির্যাতন করে যে হত্যা করা হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা যুক্ত তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক (RG Kar Case)।
আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডে নয়া মোড়! লাল জামা পরা রহস্যময় ব্যক্তি কে? নাম-পরিচয় ফাঁস হতেই তোলপাড়!
এখন প্রশ্ন, তাহলে অপরাধী একজন ধরে নিয়ে কীভাবে এফআইআর দায়ের করা হল? এমনকি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের কথা সরাসরি উল্লেখ না করা থাকলেও কীভাবে এফআইআরে পুলিশ লিখল, ইচ্ছাকৃত ধর্ষণ, যা কোনও একজন ব্যক্তিই করেছেন (RG Kar Case)? প্রশ্ন তুলেছেন এক আন্দোলনকারী চিকিৎসক।
‘উইলফুল রেপ’ প্রসঙ্গে আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় আবার বলেন, ‘উইলফুল রেপ বলে কিছু হয় না। ভীষণ হাস্যকর ব্যাপার। এটা আইনের কোনও ভাষা নয়। পুলিশ এটা কীভাবে লিখল জানি না। চার্জশিট জমা না পড়া অবধি এফআইআর জরুরি। এরপর এই বক্তব্যের আর কোনও গুরুত্ব থাকবে না’।