বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবারে আদালতের রায়ের পর থেকে আরও বদলে গিয়েছে আচরণ। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলের পয়লা বাইশের তিন নম্বর সেলে রয়েছে আরজি কর (RG Kar Case) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়। গতকালই পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়কে (Sanjay Ray) দোষী সাব্যস্ত করে শিয়ালদা আদালত।
কি অবস্থা আরজি করের ধর্ষক-খুনির? RG Kar Case
ধর্ষণ ও খুনের ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর, জেলে ঢোকানোর পর থেকেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন সঞ্জয়। কারারক্ষীরা তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলেও তাতে সায় দেয়নি সঞ্জয়। তবে গতকাল রায়দানের সময় আদালতে মুখ খুলেছিল সে।
নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে আদালতে সঞ্জয় বলে, ‘স্যার আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা রয়েছে। ধস্তাধস্তি হলে মালাটা ছিঁড়ে যেত, সেটা ছিঁড়ে নি। আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। ওই সেমিনার রুমে আমার প্রবেশ করা সম্ভব নয়। আইপিএস অফিসাররা যা বলেছে তাই করেছি।’ ১২ মিনিটের শুনানিতে কাতর আর্জি জানায় সঞ্জয়।
আর জি করে চিকিৎসক খুনে দোষীকে ডাক্তার দিনে চার বার করে দেখবে। জেলের শীর্ষ আধিকারিকেরা দেখবে দু’বার করে। জানা গিয়েছে গতকাল সন্ধ্যা অবধি মুখে খাবার তোলেনি সঞ্জয়। নিজের মত চুপচাপ বসে রয়েছে। কথা-বার্তা, খাওয়া-দাওয়া সব বন্ধ। সূত্রের খবর, পয়লা বাইশের তিন নম্বর সেলে একাই রয়েছে সঞ্জয়। সেখানে রয়েছে সিসিটিভি মনিটরিংয়ের ব্যবস্থাও।
আরও পড়ুন: শীত বাড়তেই ফের বৃষ্টি রাজ্যে, কলকাতায় কত ডিগ্রিতে নামবে তাপমাত্রা? আবহাওয়ার খবর
উল্লেখ্য, আর জি কর ঘটনার ১৬২ দিনের মাথায় রায় ঘোষণা করল আদালত। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের পর মৃত্যু)
১০৩ (১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে। সোমবার সাজা ঘোষণা। তার আগে সঞ্জয়ের উপর ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় নজরদারি চলছে। দু’জন করে তিন শিফটে কারারক্ষী থাকছেন।