দোষী সাব্যস্ত করেছে শিয়ালদা কোর্ট, এবার উচ্চ আদালতের পথে পরিবার? জানালেন সঞ্জয়ের মা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘স্যার আমি নির্দোষ।’ আরজি কর (RG Kar Case) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর একথাই বলেছিলেন সঞ্জয় রায় (Sanjay Ray)। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার স্বপক্ষে যুক্তিও দিতে দেখা যায় তাকে। বিচারকের কাছে কাতর আর্জি জানান। তবে ছেলেকে নিয়ে দেওয়া রায় নিয়ে বিশেষ তাপ-উত্তাপ কিছুই দেখা গেল না মায়ের মধ্যে। উল্টে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বললেন, ‘ছেলের বিষয় ওই বুঝবে’।

আর জি কর মামলায় ধর্ষণ ও খুনের ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। আর জি কর ঘটনার ১৬২ দিনের মাথায় রায় ঘোষণা করে আদালত। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের পর মৃত্যু) ১০৩ (১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে। সোমবার সাজা ঘোষণা।

কিছুটা হলেও বিচার পেয়েছে মেয়ে। গতকাল রায় শুনেই কাঁদতে শুরু করেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা। বিচার ব্যবস্থার উপর ভরসার কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে আসে তার। এদিকে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের মায়ের অবশ্য ছেলেকে নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। অন্তত কথা-বার্তায় তেমন কিছু বোঝা গেল না। সমস্তটা ছেলের উপরেই দিয়ে বললেন, ‘ওর বিষয় ওই বুঝবে’।

RG Kar Case

ছেলে দোষী সাব্যস্ত। এই নিয়ে বারংবার প্রশ্ন করতে কিছুটা বিরক্তই হন হন সঞ্জয় রায়ের মা। সাংবাদিকদের উদ্দেশে দেওয়ালে সাঁটানো ঠাকুরের ছবিগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যা জিজ্ঞেস করার ওঁদের করুন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার কিছু বলার নেই। দোষী হয়েছে, তো হয়েছে।’ নিম্ন আদালতের রায়ের পর তা নিয়ে পরবর্তী আইনি লড়াই লড়বেন? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার উচ্চ আদালতে যাওয়ার কিছু নেই।’

rg kar 6

আরও পড়ুন: আর মিলবে না বকেয়া DA! হবে বিরাট ক্ষতি! সরকারি কর্মীদের জন্য খারাপ খবর

পাড়া-প্রতিবেশীও সঞ্জয়কে নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি। ভাইকে নিয়ে উদাসীন সঞ্জয়ের দিদিও। সঞ্জয় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে একদিনও দেখাও করতে যাননি। দেখা করতেও চান না। পরিবারের তরফে তারা কোনও আইনজীবীও দেননি। উচ্চ আদালতেও যাবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। বস্তুত আদালত যা সাজা দেবে তারা মাথা পেতে নিতে রাজি। সূত্রের খবর, একাধিক বিয়ে করেছিল সঞ্জয়। কিন্তু কোনোটাই টেকেনি।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর