বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। পরবর্তীতে ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের মামলাতেও (RG Kar Case) তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ইতিমধ্যেই আর্থিক দুর্নীতি মামলায় কোমর বেঁধে তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। সম্প্রতি জেলে গিয়ে সন্দীপ ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। এবার প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরজি কর কাণ্ডে বড় বিপাকে সন্দীপ ঘোষ (RG Kar Case)?
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সন্দীপ এবং তাঁর আত্মীয়দের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অবৈধ লেনদেনের হদিশ মিলেছে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে তদন্ত করছে ইডি (Enforcement Directorate)। জানা যাচ্ছে, এই তদন্তে সন্দীপের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের নামে বেশ কিছু সম্পত্তির দলিল পাওয়া গিয়েছে। গোয়েন্দারা অনুমান করছেন, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষই হয়তো নিজের আত্মীয়দের নামে এই সকল সম্পত্তি কিনেছেন।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, সন্দীপ (Sandip Ghosh) ও তাঁর কিছু আত্মীয়দের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অবৈধ আর্থিক লেনদেন হয়েছে। যে সকল সংস্থা অবৈধভাবে হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ করেছিল, ঘুরপথে তাদের অ্যাকাউন্টের দ্বারা কোটি কোটি টাকা সাদা করা হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, সন্দীপের শ্বশুরবাড়ির যে আত্মীয়দের নামে সম্পত্তির দলিল মিলেছে, তাঁদের থেকে ওই টাকার উৎস জানতে চেয়ে লিখিত বয়ান নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সোমবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা…! বিরাট সিদ্ধান্ত ডাক্তারদের, আজই বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব
উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Case) পর থেকেই শিরোনামে রয়েছেন তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। একাধিকবার তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পরবর্তীতে সামনে আসে সন্দীপ জমানায় আরজি করের চার দেওয়ালের ভেতর হওয়া নানান দুর্নীতির কথা। এই মামলাতেই প্রথমে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরবর্তীতে ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
এদিকে সম্প্রতি আরজি করে (RG Kar Case) ‘স্কিল ল্যাব’ তৈরিতে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। নিজের ঘনিষ্ঠ সংস্থাকে এই ‘স্কিল ল্যাব’ বানানোর বরাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকি সেই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়লেও তিনি কোনও পদক্ষেপ নেননি বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও শুধু এই একটি বিষয়ই নয়, এর আগে হাউস স্টাফ নিয়োগে দুর্নীতি, টেন্ডার দুর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে এই সন্দীপের বিরুদ্ধে।