বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) ঠিকানা এখন জেল। চিকিৎসক ধর্ষণ হত্যাকাণ্ড এবং আর্থিক দুর্নীতি, দুই মামলাতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আজ আবার আরজি কর মামলার চার্জ গঠন হয়েছে। ধৃত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং খুনের ধারায় চার্জ গঠিত হয়েছে বলে খবর। ওই মামলাতেই আবার জামিনের আবেদন জানান সন্দীপ।
এজলাসে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক সন্দীপের (Sandip Ghosh) আইনজীবী!
এদিন বন্ধ দরজার পিছনে আরজি কর মামলার (RG Kar Case) বিচারপ্রক্রিয়া চলেছে। আজ আদালতে সশরীরে হাজির করানো হয়েছিল চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়কে। সেখান থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে সে। অন্যদিকে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার কোনও প্রমাণ নেই।
আজ সন্দীপের আইনজীবী বলেন, ‘জামিনের আবেদন জানাচ্ছি। প্রথম চার্জশিটে শুধুমাত্র ধর্ষণ এবং খুনের কথা বলা হয়েছে। এখন প্রমাণ লোপাটের কথা বলা হচ্ছে। একটা প্রমাণ দেখাক’। উল্লেখ্য, আরজি কর ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগেই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)।
আরও পড়ুনঃ ‘এটা সরকারি ধর্ষণ…’! তিলোত্তমার মা-বাবার সঙ্গে দেখা! বেরিয়েই বিস্ফোরক শুভেন্দু
আজ সন্দীপের আইনজীবী আরও বলেন, ‘সংবাদমাধ্যম আমার মক্কেলের যা ভাবমূর্তি বানিয়েছে, তাতে যদি বলা হয়, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার জন্য ওসামা বিন লাদেনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ, তাহলে বাংলার মানুষ সেটাই বিশ্বাস করবে’।
অন্যদিকে সিবিআইয়ের তরফ থেকে আজ আদালতে জানানো হয়, গত ৯ আগস্ট সন্দীপ (Sandip Ghosh) এবং অভিজিতের মধ্যে যে কথোপকথন হয়েছিল, তার প্রমাণ মিলেছে। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফ থেকে আপাতত ক্লিনচিট দেওয়া হচ্ছে না, সেটা আজ কার্যত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।