কার নির্দেশে ভাঙা হয় সেমিনার রুমের পাশের ঘর? প্রমাণ সহ সব ফাঁস করলেন সুকান্ত, তোলপাড় রাজ্য

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। জানা যায়, ধর্ষিতা হয়েছেন খুন হয়েছেন তিনি। এরপরেই দেখা যায়, সেমিনার রুমের পাশের ঘরে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। প্রশ্ন ওঠে, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্যই কি তড়িঘড়ি এমনটা করা হল? কার থেকে এসেছিল এই নির্দেশ (RG Kar Case)? এবার ফাঁস হল সেই ‘নাম’।

  • সেমিনার রুমের পাশের ঘরে সংস্কারের অর্ডার দিয়েছিল কে (RG Kar Case)?

আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যেই দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। এবার প্রকাশ্যে এল তাঁর একটি চিঠি। গত ১০ আগস্ট, অর্থাৎ ঘটনা ঘটার পরেই দিনই পূর্ত দফতরের এক্সিজিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে একটি চিঠি লিখেছিলেন তিনি। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকদের রুম এবং শৌচাগার সংস্কারের কথা বলা হয়েছে।

   

  • সেই চিঠিতে কী লেখা রয়েছে?

পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে সন্দীপের লেখা সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালের (RG Kar Case) একাধিক বিভাগের চিকিৎসকদের উপযুক্ত ঘর এবং শৌচালয়ের অভাব রয়েছে। রেসিডেন্ট ডাক্তারদের দাবি অনুযায়ী অতি সত্বর এই কাজ করার কথাও বলা হয়েছে সেখানে। একইসঙ্গে ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, স্বাস্থ্য দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির সঙ্গে এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোর অনুদান নিয়ে মামলা! রাজ্যকে এবার বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে এই চিঠির ছবি পোস্ট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবং বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya)। অমিত লিখেছেন, ‘এটা বিস্ফোরক! ওই মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ হয়ে খুন হওয়ার পরেই দিনই সন্দীপ ঘোষ সেমিনার রুমের কাছে শৌচাগার সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। অর্থাৎ ঘটনা ঘটার আগেই এই নির্দেশ দেওয়ার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং হাসপাতালের তরফ থেকে মিথ্যে বলা হয়েছে। যারা ওই ভাঙা দেওয়ালের ছবি শেয়ার করেছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ অভিযোগ করেছিল’।

RG Kar case Sandip Ghosh repair order letter

অমিত লেখেন, কলকাতা পুলিশ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত প্রমাণ লোপাটে জন্য এসব করেছেন। এবার তাঁদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিজেপি নেতা ফের দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল পদত্যাগ না করা অবধি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষা তদন্ত সম্ভব হবে না। প্রচুর প্রমাণ ইতিমধ্যেই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনা ঘটার (RG Kar Case) ৭২ ঘণ্টার পর অবধি মমতা এবং বিনীতের মধ্যে কী কথোপকথন হয়েছে সেটা জনসমক্ষে আনার দাবি জানিয়েছেন অমিত। একইসঙ্গে সত্য বাইরে আনতে দু’জনের পলিগ্রাফ টেস্ট করার কথাও বলেছেন।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর