বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডে ফের বিতর্কে হাসপাতালের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ। এদিন পদত্যাগ করার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। ধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতার নাম, পরিচয় এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের পরিচয় গোপন রাখার নিয়ম থাকলেও এদিন তিনি তা ভঙ্গ করেন (RG Kar Case)।
ফের বিতর্কে আরজি করের (RG Kar Case) সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ!
এদিন হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন সন্দীপ। তখন কথা বলার সময় একাধিকবার নির্যাতিতা চিকিৎসকের নাম নেন তিনি। আরজি করের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ বলেন, ‘এই ঘটনার নৈতিক দায়িত্ব স্বীকার করে ইস্তফা দিলাম। আমার নামে যে অপপ্রচার করা হয়েছে… নির্যাতিতা (তরুণী চিকিৎসকের নাম নিয়ে) একা কেন ছিলেন, নির্যাতিতা (ফের মৃত চিকিৎসকের নাম নিয়ে) আত্মঘাতী হয়েছেন , আমি কখনও এগুলো বলিনি। আমার নামে মিথ্যে রটনা হয়েছে। ডাক্তারদের মধ্যে চোর ডাকাত রয়েছেন। সেই মুখোশগুলো খুলে যাবে’।
সন্দীপ (Sandip Ghosh) বলেন, তিনি অর্থোপেডিক সার্জেন। তাঁর দু’টি হাত রয়েছে। তিনি কিছু না কিছু করে ঠিক খাবার জোগাড় করে নেবেন। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। বাবা হিসেবে আমি ইস্তফা দিলাম’। আরজি কর কাণ্ডে এর আগে সন্দীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, ‘রাতে একা সেমিনার হলে থাকা উচিত হয়নি’, প্রয়াত চিকিৎসককে নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে বহু চিকিৎসক, পড়ুয়ারা সরব হন। এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই নিয়েও মুখ খোলেন হাসপাতালের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
আরও পড়ুনঃ বিরাট সুখবর! মাত্র ৪৫০ টাকায় পাওয়া যাবে LPG সিলিন্ডার! এক ঘোষণায় খুশির হাওয়া রাজ্যে
সন্দীপ জানান, তিনি আর অপমানিত হতে পারছেন না। একইসঙ্গে পরিষ্কার করে দেন, তাঁকে পদত্যাগ করার জন্য কেউ বাধ্য করেননি (RG Kar Case)। তিনি নিজ ইচ্ছায় সরে দাঁড়াচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘আমার পদত্যাগ পড়ুয়াদের কাম্য ছিল। আশা করব, এবার জুনিয়র চিকিৎসক, ছাত্রছাত্রীরা কাজে ফিরবেন। গত কয়েকদিনে নানান মাধ্যমে আমি যে কটুক্তি সহ্য করেছি, আমার সন্তান, পরিবার যা সহ্য করেছে, তাতে আমি বাবা হিসেবে লজ্জিত… আমার মুখে কথা বসিয়ে রাজনীতির খেলা চলছে। বিরুদ্ধ গোষ্ঠই এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক খেলায় নেমেছে। আমি কখনও এই কথা বলিনি’।
অধ্যক্ষ পদ দিয়ে ইস্তফা (RG Kar Case) দিয়ে সন্দীপ বলেন, তিনি একজন সরকারি কর্মী। শেষ মুহূর্ত অবধি নিজের দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মানসিক চাপে পদত্যাগ করা অধ্যক্ষকে অন্য জায়গায় বদলি করা হবে। যদিও সন্দীপ জানান, তিনি আর সরকারি চাকরি করবেন না। বিক্ষোভরত এবার সন্দীপের বরখাস্তের দাবি তুলে নিয়েছেন।