বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর ধর্ষণ খুন কাণ্ডে (RG Kar Case) দোষী সাব্যস্ত হয়েছে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় (Sanjay Roy)। ইতিমধ্যেই তাঁকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। এই রায় ঘোষণার পরেই সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। সিবিআইও উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। এই আবহে জানা যাচ্ছে, সঞ্জয় নাকি আরজি কর মামলার রায়ের কপি নিয়ে জেলের মধ্যে ঘুরছে।
আরজি কর মামলার (RG Kar Case) রায়ের কপি নিয়ে কেন জেলের মধ্যে ঘুরছে সঞ্জয়?
গত সোমবার আরজি কর ধর্ষণ খুন কাণ্ডে সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণা করেছেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। জানা যাচ্ছে, এবার নাকি ১৭২ পাতার সেই রায়ের কপি সঞ্জয়ের হাতে এসেছে। সেটা নিয়েই জেলের মধ্যে ঘুরছেন তিনি। তাঁর দাবি, তিনি ইংরেজি বুঝতে পারেন না। সেই কারণে কেউ যেন সেই রায়ের কথা তাঁকে একটু বাংলায় বুঝিয়ে বলেন। একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২১ জানুয়ারি ঘুম থেকে ওঠার পরেই জেলে বেশ কয়েকটি বাংলা এবং হিন্দি সংবাদপত্র পড়েছিল সঞ্জয়। এরপরেই জেল কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি অনুরোধ করেন, আরজি কর মামলায় (RG Kar Case) শিয়ালদহ আদালত যে রায় দিয়েছে, সেটা যেন কেউ একটু তাঁকে বাংলায় বুঝিয়ে দেন। জানা যাচ্ছে, জেলের একাধিক বন্দির কাছেও নাকি এই অনুরোধ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি। পরে সঞ্জয়কে জানানো হয়, জেলে যখন আইনি সহায়তা ক্যাম্প হবে, তখন সহজেই তাঁর দাবি মিটবে।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষকদের জন্য বড় খবর! এবার চালু হচ্ছে একগুচ্ছ নিয়ম? জোর শোরগোল
উল্লেখ্য, আরজি কর ধর্ষণ খুন কাণ্ডে গত শনিবার সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেছিল শিয়ালদহ আদালত। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩ (১) ধারায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সোমবার সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক অনির্বাণ দাস (Justice Anirban Das)।
অনেকেই ভেবেছিলেন, আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) সঞ্জয়কে হয়তো ফাঁসি দেওয়া হবে। তবে বিচারক সেই রায় দেননি। তিনি বলেন, ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ’ নয়। তাই সঞ্জয়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ৫০,০০০ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাষ্ট্র, নির্দেশ দিয়েছে নিম্ন আদালত।