বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েকদিন ধরেই চর্চায় রয়েছে আরজি কর কাণ্ডের দোষী সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় (Sanjay Roy)। শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বান দাস তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। সঞ্জয়কে আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে। তারপর মঙ্গলবার প্রথম জেলের ভিতর নিজের সেল থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে সে।
সাজা ঘোষণার পর দুটি ছোট্ট জিনিস চাইল সঞ্জয় (Sanjay Roy)
প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিচারাধীন বন্দিদের তুলনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দীদের দিনের বেলায় তুলনামূলকভাবে বেশিক্ষণ সেলের বাইরে রাখা হয়। যদিও সঞ্জয়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে খুব বেশি সময় সেলের বাইরে থাকতে দেওয়া হবে না। জানা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্সি জেলের পয়লা বাইশ ওয়ার্ডের তিন নম্বর সেলে একাই রাখা হয়েছে সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Roy)।
সার্বক্ষণ তার (Sanjay Roy) ওপর কড়া নজরদারি রাখছেন কারারক্ষীরা, রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও। জানা যাচ্ছে, সেলের ভেতর থেকে বেরিয়ে মঙ্গলবার সঞ্জয় দুটি জিনিস চেয়েছে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে। সূত্রের খবর এদিন একটি খাতা ও এবং পেন চেয়েছে আরজি করের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয়। যদিও সে ওই খাতা পেন নিয়ে কি করবে, কিংবা কি লিখতে চায় তা জানে না জেল কর্তৃপক্ষ।
তবে জেলে বন্দী আসামী হিসেবে এই দুটি জিনিস চাইলে তা পাওয়ার অধিকারী সঞ্জয়। এর আগে জানা গিয়েছিল শিয়ালদহ আদালতে আরজি কর কাণ্ডে আমৃত্যু কারাদণ্ডের শাস্তি পাওয়ার পর সঞ্জয় তার আইনজীবীকে জানিয়েছিল এই ঘটনার পর সে নাকি বদনাম হয়ে গিয়েছে। আদালতেও নিজেকে বারবার নির্দোষ বলে দাবি করেছিল সঞ্জয়।
সোমবার কলকাতার নিন্ম আদালতের রায় ঘোষণার পর থেকেই অসন্তুষ্ট সকলে। তাই এবার সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের মামলা করেছে রাজ্য সরকার। একইসাথে মামলা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইও। তাই এখনও সঞ্জয়ের প্রাণদণ্ড হওয়ার আশঙ্কা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।