বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার সকাল থেকেই আরজি কর মামলার (RG Kar Case) দিকে নজর ছিল সকলের। গত বছরের ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার তলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল ডাক্তারি পড়ুয়া তরুণীর রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ। ওই ঘটনার নৃশংসতা প্রকাশ্যে আসতেই কেঁপে উঠেছিলেন গোটা দেশবাসী।
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) রায় ঘোষণা হতেই কি বললেন সঞ্জয়ের দিদি?
তিলোত্তমার মৃত্যুর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশ। সেই থেকে তিলোত্তমার ন্যায় বিচারের দাবিতে কলকাতার রাজপথে বিরাট আন্দোলনে নেমেছিলেন রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই আন্দোলন চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এর হাতে।
আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) শুরু থেকেই অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের নাম। এই ঘটনার ১৬২ দিন পর অবশেষে আজ শনিবার আরজিকার কাণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়েছে। অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে দোষী সাব্যস্ত করে শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস জানিয়েছেন এই মামলায় আগামী সোমবার দুপুরে সাজা ঘোষণা করা হবে। বিচারক জানিয়েছেন সর্বনিম্ন দশ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে আরজিকর মামলার মূল দোষী সঞ্জয় রায়ের। আর তার সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে মৃত্যুদণ্ড।
শনিবার দুপুরে আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) আদালতে যখন সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে তখনই কান্নায় ভেঙে পড়লেন তার দিদি। তিনি জানিয়েছেন তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সঞ্জয় সবচেয়ে ছোট। তার ভাই সত্যিই কি দোষী? জানতে চাওয়া হলে টিভি নাইন বাংলায় ধরা গলায় তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি ঠিক জানিনা সব টিভিতেই দেখছি।’ তার ভাই সত্যিই ওই নৃশংস কাজ করেছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি জানিয়েছেন, ‘ভাই মদ্যপান করত তবে এরকম কাজ করতে পারে কিনা বলতে পারব না।’
সঞ্জয়ের দিদি জানিয়েছেন ২০১৭ সালে তার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর বাপের বাড়ির সঙ্গে, এমনকি ভাইয়ের সঙ্গেও তার বিশেষ যোগাযোগ ছিল না। তিনি জানিয়েছেন ভাইয়ের দুটো বিয়ে তবে মহিলাদের কটুক্তি করত এমনটা কখনও শোনেননি। আদালতে রায় ঘোষণের পর তিনি কি তার ভাইকে দোষী মনে করছেন? জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ধরা পড়ার পর তখন মনে হয়নি। এখন তো সব তথ্য-প্রমাণ সামনে আসছে।’
আরও পড়ুন: খোদ বিচারককেই হেনস্তা! রুল ইস্যু করল ক্ষুব্ধ কলকাতা হাই কোর্ট
আজ আদালতে বিচারক জানিয়েছেন আরজি কর মামলায় (RG Kar Case) সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। কিন্তু তার ভাই যে ওই নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছেন তা তিনি ভাবতেও পারছেন না। তবে আদালতের রায় ঘোষণার পর তিনি কি ভাবছেন? জানতে চাওয়া হলে সঞ্জয়ের দিদি জানিয়েছেন, ‘আইন যা নির্দেশ দেবে, তাই মেনে নেব।’
ছোটবেলায় কেমন ছিলেন সঞ্জয় রায়? জানতে চাওয়া হলে তার দিদি এদিন জানিয়েছেন, ছোটবেলায় আর পাঁচটা বাচ্চার মতই সাধারণ ছিল তার ভাই। মহিলাদের উত্ত্যক্ত করার কোন অভিযোগ ছিল না। তবে তার ভাই ধীরে ধীরে বদলে গিয়েছিলেন কিনা, তা নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে পারলেন না তিনি।