বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছে তাতে ফুঁসে উঠেছে সকলে। পথে নেমে প্রতিবাদ করছে সাধারণ মানুষ। তেরো থেকে তিরাশি, ন্যায়বিচারের দাবিতে সরব প্রত্যেকে। এই আবহে এবার বিরাট সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যের এক শিক্ষক। রাজ্যপাল, শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা দফতরের সচিবদের কাছে শিক্ষারত্ন ফেরানোর আবেদন জানিয়েছেন তিনি (RG Kar Case)।
শিক্ষক দিবসের দিন শিক্ষারত্ন ফেরালেন শিক্ষক (RG Kar Case)
২০১৩ সালে শিক্ষারত্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন দীপক মজুমদার। জানা যাচ্ছে, বনগাঁর গোপালপুরের রামশঙ্করপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক (School Teacher) তিনি। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এই দীপকবাবুই নিজের অ্যাওয়ার্ড ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর এই পুরস্কার রাখা লজ্জা এবং কষ্টের।
- শিক্ষারত্ন ফেরানো নিয়ে কী বললেন দীপকবাবু?
১২ বছর আগে শিক্ষারত্ন পুরস্কার (Shiksharatna Award) পেয়েছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে এই অ্যাওয়ার্ড সযত্নে রেখেছিলেন তিনি। তবে আরজি কর কাণ্ডের পর আর এই পুরস্কার নিজের কাছে রাখতে চান না দীপকবাবু। প্রতিবাদস্বরূপ এই অ্যাওয়ার্ড ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী, রাজ্যপাল, শিক্ষা দফতরের সচিবদের কাছে এই আবেদন জানিয়েছেন এই প্রাক্তন শিক্ষক।
আরও পড়ুনঃ ডাক্তারদের ‘বিনীত সাক্ষাৎ’! নেপথ্যে তৃণমূলের বড় নেতা? ‘আসল গল্প’ ফাঁস হতেই তোলপাড়
জানা যাচ্ছে, দীপকবাবু রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) প্রতি এই নিয়ে একপ্রকার উষ্মা প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে শিক্ষারত্ন অ্যাওয়ার্ডের পাশাপাশি আর্থিক পুরস্কার ফেরানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। শিক্ষক দিবসের দিন রাজ্যের এক শিক্ষকের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। পরবর্তীতে জানা যায়, ধর্ষিতা হয়ে খুন হয়েছেন তিনি। প্রথমে পুলিশের হাতে তদন্তভার থাকলেও হাইকোর্টে পরে তা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। বর্তমানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা এই ঘটনার তদন্ত করছেন। অন্যদিকে রাজ্যজুড়ে চলছে প্রতিবাদ। আরজি করের ঘটনায় বিচারের দাবিতে অনড় বনগাঁর শিক্ষক দীপকবাবুও। তাই এবার নিজের শিক্ষারত্ন ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।