বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অপেক্ষার অবসান! সোমবার সকাল থেকেই সকলের নজর ছিল শিয়ালদহ আদালতের (Sealdah Court) দিকে। এদিন আরজি কর ধর্ষণ খুন কাণ্ডে (RG Kar Case) সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক অনির্বাণ দাস। মৃত্যুদণ্ড নয়, সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Roy) আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। সেই সঙ্গেই নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাষ্ট্র, নির্দেশ বিচারক দাসের।
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণা করল আদালত!
বিচারক দাস এদিন সঞ্জয়ের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাকে জীবনের শেষ দিন অবধি জেলে থাকতে হবে’। জানা যাচ্ছে, এদিন সঞ্জয়ের আমৃত্যু তথা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁকে জরিমানাও করেছে আদালত। ৫০,০০০ টাকার জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা না দিলে আরও ৫ মাস কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এদিকে রাষ্ট্রকে সব মিলিয়ে ১৭ লক্ষ টাকার (ধর্ষণের জন্য ৭ লক্ষ ও হত্যার জন্য ১০ লক্ষ) ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এদিন বিচারকের নির্দেশ শোনার পর আরজি করের (RG Kar Case) নির্যাতিতার বাবা জানান, তাঁরা ক্ষতিপূরণ চান না। তাঁদের উদ্দেশে বিচারক বলেন, ‘টাকা দিয়ে ক্ষতিপূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে এটা আপনি মনে করবেন না। আমাকে এমন বলা হলে আমিও তাই করতাম’।
আরও পড়ুনঃ ‘মারধর করা হয়েছে… যেখানে খুশি সই করিয়ে নিচ্ছে’! সাজা ঘোষণার আগেই সব ফাঁস করলেন সঞ্জয়?
জানা যাচ্ছে, আজ দুপুর ২:৪৫ নাগাদ বিচারক দাস যখন এজলাসে প্রবেশ করছেন তখন বাইরের রাস্তায় ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান উঠছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন, চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের এই ঘটনায় সঞ্জয়কে ফাঁসি দেবে শিয়ালদহ আদালত। এদিন নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকেও দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানানো হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইও কঠোর শাস্তির পক্ষে সওয়াল করে।
বিচারক দাস অবশ্য বলেন, সঞ্জয়ের অপরাধ ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ নয়। সেই কারণে তাঁকে ফাঁসি নয়, বরং আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয় মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। সেই ঘটনার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বাংলায়। মৃতদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। সিবিআইয়ের তরফ থেকে দেওয়া চার্জশিটেও এই সঞ্জয়কে ধর্ষক খুনি হিসেবে দাবি করা হয়। এবার তাঁর সাজা ঘোষণা করল শিয়ালদহ আদালত।