বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য থেকে রাজনীতি, আরজি কর মামলার আঁচ এসে পড়েছে সর্বত্র। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি চলছে। গত মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা করেছে সিবিআই। সেই সঙ্গেই বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে সওয়াল-জবাব হয়েছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এবার জানা যাচ্ছে, সেই দিনক্ষণ পিছনোর আর্জি জানিয়েছে রাজ্য।
সোমবার হতে পারে শুনানি (Supreme Court)
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সূত্র উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, আরজি কর মামলার (RG Kar Case) শুনানি পিছনোর আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। ফলে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর আদৌ এই মামলার শুনানি হবে কিনা তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ওই দিনের পরিবর্তে অন্য কোনও দিন এই মামলার শুনানি করা যায় কিনা সেটা নিয়ে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলে খবর।
- কী বলছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য?
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এই আবেদনের শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সবপক্ষের মতামত শোনার পরেই শুনানি আদৌ পিছোবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক অধীশ বসু বলেন, ‘শীর্ষ আদালতের যে বেঞ্চ এই মামলা শুনছে, আমাদের রাজ্যের তরফে তাদের আবেদন জানানো হয়, ২৭ তারিখের পরিবর্তে পিছিয়ে ৩০ তারিখ অথবা ওই সপ্তাহে যে কোনও দিন রাখা হয়। বেঞ্চের তরফ থেকে বলা হয়, অন্যান্য পার্টির অনুমতি না নেওয়ায় এই বিষয়ে কিছু বলছি না। সোমবার সবাইকে থাকতে বলা হয়েছে। সেখানে আলোচনার পর পদক্ষেপ নেওয়া হবে’।
আরও পড়ুনঃ পুজোর চারদিন…! কলকাতাবাসীর জন্য দারুণ সুখবর! কেএমসির এক ঘোষণায় ধন্য ধন্য করছে সকলে
এই প্রসঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) বলেন, ‘এগুলো কোনও বিষয় নাকি? বিতর্কেরও বিষয় না। ২৭ তারিখের পরিবর্তে ৩০ তারিখ হবে বা ৩০ তারিখের পরিবর্তে ১ তারিখ হবে। সুপ্রিম কোর্টে নানান মামলায় অহরহ এই রকম হয়। হয়তো কারোর কোনও সমস্যা রয়েছে। সেই কারণে সময় চেয়েছেন। তিনদিনে কী যায় আসে?’
এদিকে আরজি কর মামলার শেষ শুনানিতে সিবিআইয়ের জমা দেওয়া ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেখানে কী আছে খোলসা না করলেও প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, রিপোর্টে যা রয়েছে সেটা বেশ উদ্বেগের। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিল আদালত।