বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর থেকেই শিরোনামে রয়েছেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি। একাধিকবার প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে তাঁর ভূমিকা। এই মামলাতেই (RG Kar Case) সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারও হয়েছেন। এবার সেই অভিজিৎ মণ্ডল আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
কী হয়েছে টালা থানার প্রাক্তন ওসির (RG Kar Case)?
বুধবার শিয়ালদহ আদালতে অভিজিৎকে (Abhijit Mondal) হাজির করানো হয়েছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে যান বলে খবর। তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন এক পুলিশকর্মী। এরপর আদালত থেকে ফিরে গতকাল রাতে শরীর খারাপ লাগায় তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্সি জেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই ভর্তি রয়েছেন তিনি।
এদিকে আরজি কর ধর্ষণ খুনের মামলায় (RG Kar Case) তথ্যপ্রমাণ লোপাট, দেরিয়ে এফআইআর করা সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে টালা থানার প্রাক্তন ওসির বিরুদ্ধে। এই মামলায় অভিজিতের সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও। গতকাল শিয়ালদহ আদালতে দু’জনেরই জামিনের আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুনঃ জামিন খারিজ! আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ-অভিজিতের সর্বোচ্চ শাস্তি? আদালতের মন্তব্যে তোলপাড়
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অবধি সন্দীপ এবং অভিজিতের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। একইসঙ্গে সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা যাচ্ছে, যদি অনুমতি পাওয়া যায়, তাহলে ধৃত দু’জনেরই পলিগ্রাফ এবং নার্কো পরীক্ষা করানো হবে।
এদিকে জানা যাচ্ছে গতকাল শিয়ালদহ আদালতে সন্দীপ-অভিজিতের আইনজীবী তাঁদের জামিনের আবেদন জানিয়ে বলেন, এখনও অবধি ধর্ষণ কিংবা খুনে (RG Kar Case) সরাসরি তাঁদের মক্কেলের সংযোগ পাওয়া যায়নি। তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এখনও অবধি তেমন কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি।
পাল্টা আদালত নির্দেশনামায় জানায়, ‘এই ধরণের গুরুতর মামলা যদি প্রমাণিত হয়, মৃত্যুদণ্ড অবধি হতে পারে। বিরলতম ঘটনা বলে প্রমাণিত হলে, তা অবিচার করা হবে’। এরপরেই আরজি কর ধর্ষণ খুনের মামলায় ধৃত দু’জনের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন বিচারক। একইসঙ্গে সিবিআইয়ের তরফ থেকে এই মামলার রুদ্ধদ্বার শুনানির যে আবেদন করা হয়েছিল, সেটাও খারিজ করে দেয় আদালত।