বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ১৮ দিন। আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। একের পর এক জায়গায় হানা, একাধিক ব্যক্তিকে তলব করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এর মাঝেই সামনে এল একটি ঘটনার দিনের (RG Kar Case) একটি ভিডিও ফুটেজ। যেখানে দেখা যাচ্ছে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ ৩ জনকে।
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) প্রকাশ্যে বিস্ফোরক ভিডিও ফুটেজ!
গত ৯ আগস্ট আরজি করের (RG Kar Hospital) থার্ড ফ্লোরের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল পড়ুয়া চিকিৎসকের মৃতদেহ। এরপরেই অভিযোগ ওঠে, ঘটনাস্থল তথা ক্রাইম সিনে নানান রকম বদল করা হয়েছে। এবার যে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে তা সেই সন্দেহ আরও জোরালো করে দিল। এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট।
আরজি করের অন্দরের এই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ঘটনার দিন ভিড়ের মধ্যে রয়েছেন হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের দেবাশিস সোম, সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) আইনজীবী শান্তনু দে এবং সন্দীপ ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। তাঁরা সেখানে কী করছিলেন আপাতত এই নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সিভিকের হয়ে মামলা লড়ছেন কবিতা, এই আইনজীবীর পরিচয় চমকে দেবে
আরজি কর হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত দেবাশিস। সেই সঙ্গেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের কাউন্সিলেরও সদস্য তিনি। শোনা যায়, হাসপাতালে নিজের বিভাগের থেকে বেশি সন্দীপের ঘরের পাশের একটি ঘরে বেশি পাওয়া যেত দেবাশিসকে। গত রবিবার সন্দীপের বাড়ির পাশাপাশি তাঁর বাড়িতেও সিবিআই হানা দিয়েছিল। সেখানে তল্লাশি চালানোর পর দেবাশিসকে নিজাম প্যালেসে ডেকে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
অন্যদিকে শান্তনু দে সন্দীপের ব্যক্তিগত আইনজীবী হওয়ার পাশাপাশি তাঁর ‘ছায়াসঙ্গী’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। ঘটনার দিন সকাল সকাল তিনি কেন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। একইসঙ্গে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ প্রসূনের উপস্থিতিও ভাবাচ্ছে অনেককে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার আরজি কর মামলার (RG Kar Case) শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়েন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল। ৯ আগস্ট সকাল ১০ টা ১০ মিনিটে জেনারেল ডায়েরি দায়ের হলেও রাত ১১টার পর ক্রাইম সিন সিল করা হয়। এতক্ষণ দেরি কেন? প্রশ্ন তুলেছিল শীর্ষ আদালত।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা