বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতার শিয়ালদহ আদালতে আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক অনির্বাণ দাস। আদালতের ওই রায় ঘোষণার পর অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন অনেকেই। কারণ সকলে আশা করেছিলেন আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের নির্মম খুন ধর্ষণ কাণ্ডে দোষী সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়কে ফাঁসির সাজা দেওয়া হবে। কিন্তু তা না হওয়ায় ‘আগ বাড়িয়েই’ সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের আবেদন করেছিল রাজ্য।
আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে রাজ্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তিলোত্তমার বাবা
রাজ্যের সেই আবেদন ইতিমধ্যেই খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত। তারপরে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন তিলোত্তমার বাবা। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারক বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করেন তিনি। রাজ্যের এই ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। তবে উদ্যোগী হয়ে আদালত থেকে যথাযথ উত্তর পেয়ে গিয়েছে তারা।
গতমাসে নিন্ম আদালত আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে সঞ্জয় রায়কে, কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেও প্রথম থেকে সিবিআই ও রাজ্য সরকার সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার ছিল। শিয়ালদহ আদালতের ওই রায় ঘোষণার পর তিলোত্তমার বাবা-মায়ের আগে সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য তড়িঘড়ি মামলা করায় উঠতে শুরু করে একগুচ্ছ প্রশ্ন। সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে রাজ্য কেন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে গেল? রাজ্যের কি আদৌ এই এক্তিয়ার ছিল?
তিলোত্তমার বাবা এপ্রসঙ্গে বললেন, ‘রাজ্য যে তৎপরতার সঙ্গে সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়েছে যদি প্রথম দিন থেকে সেই তৎপরতা দেখাত,তাহলে আমার মেয়ের খুনের সঙ্গে জড়িত অপরাধীরা সবাই গ্রেফতার হত। সামনে আসত, শাস্তি পেত। সেখানে সিপি, এসিপি-র উপস্থিতিতে প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। প্রকৃত দোষীরা সামনে আসছে না। এই বিষয়টার মধ্যে রাজ্যের ঢোকা উচিত হয়নি।’
আরও পড়ুন: ‘হিন্দু স্কুল, হেয়ার স্কুলের কী অবস্থা’! শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য
ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে তিলোত্তমা কান্ডের জনস্বার্থ মামলা চলছে, সেই মামলাও ইতিমধ্যেই পিছিয়ে গিয়েছে। বারবার এইভাবে মামলা (RG Kar) পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়ে তিলোত্তমার বাবা এদিন বললেন, ‘আমরা প্রচন্ড হতাশ হয়ে যাচ্ছি। কারণ এতদিন ধরে যে যে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হয়েছে, তাতে তদন্ত কীভাবে হওয়া উচিত সেবিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই-কে কোনও গাইডলাইন দেয়নি। সাতখানা স্টেটাস রিপোর্ট জমা পড়েছে। তাতে কী রয়েছে, সেটাও জানি না।’
সামনেই রয়েছে তিলোত্তমার জন্মদিন। আগামী ৯ই ফেব্রুয়ারি তাঁর ৩২ তম জন্মদিন। মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্প করার কথা ছিল তিলোত্তমার বাবা-মায়ের। তা নিয়ে এলাকার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাধা দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করে তিনি বলেছেন এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না, আর তার কাছে এই বিষয় নিয়ে কেউ আসেননি।