বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ ১৮ জানুয়ারি শিয়ালদা কোর্টে আরজিকর কাণ্ডের (RG Kar Case) রায় ঘোষণা করবেন বিচারক। তার আগেই মেয়ের মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। এতদিন তদন্তের স্বার্থেই তাঁরা এই কথা প্রকাশ্যে আনেননি বলেই জানিয়েছেন। বিষাক্ত স্যালাইন কান্ডে প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে এই মুহূর্তে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এই ঘটনার পর চিকিৎসকদের গাফিলতির তথ্য খাঁড়া করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অথবা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
আরজিকর কাণ্ডের (RG Kar Case) সত্যি সামনে আনলেন তিলোত্তমার বাবা-মা
ইতিমধ্যেই ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যেই রয়েছেন ৬ জন জুনিয়র চিকিৎসক। এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে এবার ভেজাল ওষুধের প্রতিবাদ করলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। তাঁদের বিস্ফোরক দাবী তাদের মেয়েও নাকি এই ভেজাল ওষুধের কথাই বলতেন। ভেজাল ওষুধের জন্য আরজিকর হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর কথা তিনি বলেছিলেন বাড়িতে। আর সেটা নাকি হয়েছিল তিলোত্তমার ধর্ষণ-খুনের ঘটনার (RG Kar Case) কিছুদিন আগেই। তিলোত্তমার বাবা মা এদিন আশংকা প্রকাশ করেছেন এই ভেজাল ওষুধের প্রতিবাদ করার জন্যই তাদের মেয়েকে খুন হতে হয়েছিল।
টিভি৯ বাংলায় দেওয়া একান্ত একটি একান্ত সাক্ষাৎকারে তিলোত্তমার বাবা বিস্ফোরক দাবি করে জানিয়েছেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি ভিপি একজন রোগীকে সেই ওষুধ দিয়ে মেরেও ফেলেছে। এটা আমার মেয়ের মৃত্যুর (RG Kar Case) কিছুদিন আগেই হয়েছে। ওষুধের রিয়েকশন থেকেই রোগীটা মারা গিয়েছিল। আমার মেয়ে বাড়িতে এসে বলেছিল, বাবা পেশেন্টটা খুবই গরীব ছিল। তাকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার পরেই এমন অবস্থা হল। সারা শরীরে র্যাশ বেরিয়ে পুড়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয়েছিল। তিনদিন পর মারা গিয়েছিল। এই পেশেন্টকে নিয়ে মেডিকেল বোর্ডে বসেছিল। আমার মেয়ে সেই সময়েই বলেছিল। এটাই আমার মেয়ের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।’
আরও পড়ুন: ‘প্রকৃত অপরাধী..,’ আর জি কর কাণ্ডে রায় ঘোষণার আগে বিকাশরঞ্জন যা বললেন, জোর শোরগোল
প্রায় একই কথা শোনা গেল তিলোত্তমার মায়ের মুখেও। তাঁর দাবি স্যালাইনকাণ্ডের জন্য ভুল ড্র্যাগ দায়ী। তিনি বললেন, ‘এটা তো রাজ্য সরকারের দোষ। এখন ডাক্তারদের ওপর চাপানো হয় হচ্ছে। হাসপাতালে কোনো রোগী ভর্তি হলে এটা এখন যেমন রোগীর বাড়ির লোকের টেনশন, তেমন ডাক্তারদেরও টেনশন হয়। ডাক্তাররা বলছে কি ওষুধ দেবো তাতে কি বেরোবে? ভয় তো ওদেরও।’
তিলোত্তমার বাবা-মা’কে, এই স্যালাইন কাণ্ডের পর আতঙ্ক থেকেই একজন জুনিয়র চিকিৎসক জানিয়েছেন ডাক্তারি ছেড়ে দিয়ে মুদিখানার দোকান খুলে বসলেই ভালো। তাই রিক্স নিতে ভয় পাচ্ছেন তারাও। তিলোত্তমার মা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে চেস্ট মেডিসিনে ছিলেন। সেখানেও এমন ওষুধ ছিল তাতে রোগী মারা যেত। তিনিও তিলোত্তমার বাবার মতই দাবি জানিয়ে বলেছেন,’আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি ভিপি একজন রোগীকে সেই ওষুধ দিয়ে মেরেও ফেলেছে। আমার মেয়ের মৃত্যুর কিছুদিন আগেই এটা হয়েছে’। তাই তিলোত্তমার বাবা-মায়ের দাবি স্যালাইনকাণ্ডে চিকিৎসকরা কোনোভাবে দায়ী নয়। এর একমাত্র কারণ হতে পারে স্যালাইন।