বাংলা হান্ট ডেস্ক : তারিখ পে তারিখ! দেখতে দেখতে তিন মাস অতিক্রান্ত। এখনও অধারা আরজিকর (RG Kar) কান্ডের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বিচার। তবে মাত্র এই কয়েকটা মাসেই আমূল পাল্টে গিয়েছে তিলোত্তমার বাবা-মায়ের জীবন। মেয়ের নির্মম মৃত্যুই গোটা পৃথিবীটাই ওলট-পালট করে দিয়েছে তাঁদের।
আরজিকর (RG Kar) কান্ডের শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে বারবার
অকালেই মেয়ের মৃত্যু তাঁদের পাথরে পরিণত করেছে। তবে শোকে নয় লড়াই করেই তিলোত্তমার বাবা-মা আজ নিজেদের মনকে শক্ত করে ফেলেছেন এখনও তাঁদের মনে বিচার পাওয়ার ক্ষীণ আশা রয়েছে। পরপর ২ বার সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গিয়েছিল আরজিকর (RG Kar) কান্ডের শুনানি। আর বারবার এইভাবে শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন নির্যাতিতা তরুণীর বাবা-মা।
কি বলছেন তিলোত্তমার বাবা-মা?
নাম করে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না করলেও সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তারা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছিলেন শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তাঁরা একেবারেই ভালোভাবে নেননি। মঙ্গলবার আরজিকর (RG Kar) মামলার শুনানি, স্থগিত করে দেওয়ার পর স্পষ্ট জানানো হয়েছিল বুধবার সবার প্রথমেই এই মামলা শুনবে আদালতে। কিন্তু বেলা গড়াতেই স্পষ্ট জানানো হয় বুধেও হবে না শুনানি।
আরও পড়ুন : ‘৪ সপ্তাহ পর…’! আরজি কর মামলায় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল CBI! বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
তারপরেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার বাবা-মা রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় তোলেন। সেইসাথে এই আন্দোলনে দেশবাসীকে তাঁদের পাশে থাকার আহ্বান জানান তাঁরা। চোখের জল মুছেই এদিন নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘আজ আমার মেয়ে হাসপাতালে চাকরি করতে গিয়ে ধর্ষিতা হয়েছে, খুন হয়েছে। রাজ্য সরকার কী করে এর দায় এড়িয়ে যেতে পারে? আমি তো এই প্রশ্নের উত্তর পাইনি। তিন মাস হয়ে গেল। আমরা এতদিন কেঁদে ফেলতাম কথা বলতে গিয়ে। এখন আর চোখে জল আসে না। কঠোর হয়েছি আমরা। আপনারা আমাদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। আগে এভাবে কথা বলিনি। লড়াই করতে করতে আমরা কঠোর হয়েছি।’ সেইসাথে তিনি বলেন ‘আমাদের হারানোর কিছু নেই। এখন বিচার পেতেই হবে।’
অন্যদিকে দৃঢ় কণ্ঠে নির্যাতিতার মা পথে নামার বার্তা দিয়ে বলে ওঠেন, ‘আমরা দেশবাসীকে বলব, আপনারা বিচারের জন্য যেভাবে আন্দোলন করছেন, লড়াই করছেন, আমরাও রাস্তায় নামব। আমাদের পাশে থাকবেন। বিচার আমরা ছিনিয়ে আনবই। আমরা মেয়ে হারিয়ে কঠিন হয়ে গেছি। আমাদের এখন রাস্তা নামতেই হবে। বিচার পেতে গেলে আন্দোলনই একমাত্র রাস্তা।’