‘একটা অদৃশ্য হাত রয়েছে’, কার দিকে আঙুল? রায় ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে বিস্ফোরক তিলোত্তমার বাবা-মা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর কয়েক ঘণ্টা। শনিবার আর জি কর (RG Kar) খুন-ধর্ষণ মামলায় রায় ঘোষণা করবে শিয়ালদহ আদালত। তার আগেই বিস্ফোরক অভিযোগ নির্যাতিতার বাবা-মায়ের (Tilottama’s parents)। যেমন প্রশ্ন তুললেন সিবিআই তদন্তের উপর তেমনই কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্য সরকারকেও।

রাজ্য সরকারের (State Government) দিকে আঙ্গুল তুলে এদিন তিলোত্তমার মা-বাবা বলেন, ‘রাজ্য চায়নি বলেই মেয়েটা বিচার পায়নি’। তিলোত্তমার বাবা বলেন, ‘সিবিআই কোনও কাজই করেনি। সিএফএসএল বলছে ঘটনা সেমিনার রুমে ঘটেনি। এদিকে সিবিআই ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে একাই দোষী প্রমাণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।” ‘যদিও তারা কতটা সফল হবে সেটা আদালতের রায়ের উপর নির্ভর করছে’, বলে দাবি করেন নির্যাতিতার বাবা।

একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে তিলোত্তমার বাবা বলছেন, “সব কিছুর পেছনে একটা অদৃশ্য হাত কাজ করছে।” কার হাত? স্পষ্ট কিছু না বললেও রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তরের দিকেই ইঙ্গিত করেন তিনি। সেই অদৃশ্য হাতের অদৃশ্য নির্দেশেই সব তথ্য-প্রমাণ লোপাট হয়েছে, চালান ছাড়াই ময়নাতদন্ত হয়েছে বলে দাবি তিলোত্তমার বাবার।

তিলোত্তমার মায়ের কথায়, “আমার মেয়ের মৃত্যুর পর থেকে একটা অদৃশ্য আদেশ কাজ করছে নেপথ্যে।” তিনি আরও বলেন, “উপরের নির্দেশ ছাড়া আমরা আমাদের মেয়ের মুখটুকুও দেখতে পাইনি। উপরের নির্দেশ মিলতে মেয়েকে দেখতে দেয়। সিপি আমাদের অনেকক্ষণ বসিয়ে রেখেছিলেন।”

RG Kar case final verdict date revealed

আরও পড়ুন: ‘কঠোরতম শাস্তি চাই..,’ RG Kar ঘটনার রায় ঘোষণার আগেই ফুঁসে উঠলেন ফিরহাদ

গত ৯ অগস্ট কলকাতার আর জি কর হাসপাতাল থেকে উদ্ধার হয় ৩১ বছর বয়সি তরুণী চিকিৎসকের ক্ষত-বিক্ষত দেহ। তরুণী চিকিৎসকের দুই চোখ, মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। যৌনাঙ্গে ও গলায় ছিল ক্ষত। আঘাতের চিহ্ন ছিল মুখে, পায়ে, নখে, পেটে, হাতে, ঠোঁটে। ঘটনার পরই এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বাকি আরও কেউ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল কিনা সেই বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। আগস্টের ওই ঘটনার পাঁচ মাস পর ২০২৫ এ এসে তিলোত্তমা কাণ্ডে রায় দিতে চলেছে শিয়ালদহ আদালত। আগামীকাল দুপুর আড়াইটের সময় রায় শোনানোর কথা।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর