অন্যায়ের প্রতিবাদ করায়…! এতদিনে মুখ খুললেন তিলোত্তমার মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সিলর! ঘুরবে মামলার মোড়?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৯ আগস্ট ২০২৪। এদিনই আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয় এক চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃতদেহ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Roy) দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এখনও নানান প্রশ্নের উত্তর অধরা। এই আবহে মুখ খুললেন নির্যাতিতার মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সিলর (Psychologist)। মৃত্যুর মাসখানেক আগে তাঁর চেম্বারে গিয়েছিলেন তিলোত্তমা।

মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সিলরকে কী কী বলেছিলেন আরজি কর (RG Kar Case) নির্যাতিতা?

জানা যাচ্ছে, গত বছর জুলাই মাসে উত্তর ২৪ পরগণার একজন মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সিলরের কাছে গিয়েছিলেন আরজি কর নির্যাতিতা। সেই কাউন্সিলর মনঃসমাজকর্মীর নাম মোহিত রণদীপ। তিলোত্তমা জানিয়েছিলেন, তিনি একেবারেই ঘুমোতে পারছেন না। শরীর অবসাদে ভেঙে আসছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দিনের পর দিন ধরে তাঁকে ডিউটি করে যেতে হচ্ছে।

একথা শুনে ওই মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সিলর জানতে চান, সমস্যা কী? তাঁর ঘুম আসছে না নাকি ঘুমোনোর সুযোগ পাচ্ছেন না? জবাবে আরজি করের (RG Kar Case) ওই চিকিৎসক পড়ুয়া বলেছিলেন, এমনভাবে তাঁকে ডিউটি দেওয়া হচ্ছে, কিছুতেই পর্যাপ্ত ঘুম সম্ভব নয়। দু’চোখ ঘুম নেমে আসলেও তাঁর কাছে ঘুমোনোর উপায় নেই।

আরও পড়ুনঃ ‘গলা টিপে’ দেওয়ার পাল্টা ‘মুখ ফাটিয়ে’ দেওয়া! দিলীপকে চরম হুঁশিয়ারি প্রাক্তন TMC সাংসদের

পাল্টা ওই মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সিলর জিজ্ঞেস করেন, এমনটা কি কাজের জায়গায় সবার সঙ্গে হচ্ছে নাকি শুধুমাত্র তাঁর সঙ্গে? জবাবে তিলোত্তমা বলেন, কর্তৃপক্ষের কিছু অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করার জন্য শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে তাঁর ওপর এই ‘ডিউটির খাঁড়া’ নেমে এসেছে বলে অনুমান করছেন। এরপর আরও কী কী ভাবে তাঁর ওপর শাস্তির খাঁড়া নেবে আসবে তা তিনি কল্পনা করতে পারছেন না।

RG Kar case RG Kar Hospital

সব কিছু শোনার পর ওই কাউন্সিলর পরামর্শ স্বরূপ তাঁকে স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমনের বেশ কিছু উপায় বলেন। যাওয়ার আগে তিলোত্তমা বলে যান, তিনি হয়তো ফের আসবেন। যদিও সেই সুযোগ আর আসেনি। তার মাসখানেকের মধ্যেই আরজি করের (RG Kar Hospital) চার দেওয়ালের মধ্যে ঘটে যায় সেই নৃশংস ঘটনা।

আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) পর দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে প্রায় সাড়ে সাত মাস। এই আবহে মুখ খুলেছেন তিলোত্তমার মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সিলর। তিনি বলেন, ‘ওই মেয়েটির বাবা আমায় জিজ্ঞেস করেছেন, দরকার পড়লে আমি আদালতে দাঁড়িয়ে একথা বলতে তৈরি কিনা। আমি জানিয়েছি, আমি প্রস্তুত। একটি মেয়েকে আমরা কেউ স্বস্তির ঘুম অবধি দিতে পারিনি। অথচ তারপরেও সব কিছু আগের মতোই চলছে। যে কোনও সংবেদনশীল মানুষের কাছেই এই পরিস্থিতি আত্মধিক্কারের’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর