বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত ৯ আগস্ট ওলটপালট হয়ে গিয়েছে তাঁদের জীবন। মেয়েকে হারানোর যন্ত্রণা এখনও টাটকা আরজি করের (RG Kar Case) নির্যাতিতার মা-বাবার মনে। সেই কষ্ট বুকে নিয়েই ন্যায়বিচারের লড়াই করছেন তাঁরা। কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) থেকে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court), সর্বত্র ছুটে বেড়াচ্ছে তিলোত্তমার মা-বাবা।
আরজি কর কাণ্ড (RG Kar Case) নিয়ে সরগরম বাংলা
আরজ কর কাণ্ডের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে আগেই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল আরজি করে নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবার। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। এই নিয়ে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না প্রশ্ন করেছিলেন, একই বিষয় নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টে কেন আবেদন করা হল? দু’টি আদালতে একই আবেদনের প্রেক্ষিতে করা মামলার শুনানি হতে পারে না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
নির্যাতিতার পরিবার কোন আদালতে মামলার শুনানি চালাতে চান, সেটা ঠিক করে সুপ্রিম কোর্টকে জানাতে বলেছিলেন সিজেআই খান্না। সেই অনুযায়ী গত সোমবার নিজেদের বক্তব্য জানিয়ে আবেদন করেছে তিলোত্তমার মা-বাবা (RG Kar Case)। এরপর মঙ্গলবার এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আরজি করের নির্যাতিতার পরিবার জানায়, তাঁরা চায় কলকাতা হাইকোর্টেই তদন্ত মামলার শুনানি হোক। সেই সঙ্গেই দ্রুত শুনানির আবেদনও জানানো হয়।
আরও পড়ুনঃ শীত ফিরছে বাংলায়! একধাক্কায় কত ডিগ্রিতে নামবে তাপমাত্রা? একনজরে আবহাওয়ার খবর
এরপর কেটে গিয়েছে তিন দিন। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই মামলার শুনানি হয়নি। জানা যাচ্ছে, গতকাল এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও তা শুনানি তালিকায় ওঠেনি। এই আবহে ফের একবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে তিলোত্তমার পরিবার। আজ সিজেআই খান্নার (CJI Sanjiv Khanna) দ্বারস্থ হবেন নিহত তরুণী চিকিৎসকের মা-বাবা। বৃহস্পতিবার রাত অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী, তাঁদের হয়ে আবেদন জানাতে পারেন আইনজীবী করুণা নন্দী।
শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, তদন্ত মামলার শুনানি কোথায় চালাতে চান, সেটা ঠিক করে নির্যাতিতার (RG Kar Case) পরিবার সুপিম কোর্টে জানানোর পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গত সোমবারই নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছে তিলোত্তমার মা-বাবা। তাঁদের আবেদন, কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার দ্রুত শুনানি হোক। এরপর তিন দিন কেটে গেলেও এই মামলা শুনানি তালিকায় না ওঠায় ফের একবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে আরজি করের নির্যাতিতার পরিবার।