বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর (RG Kar Case) ইস্যুতে তোলপাড় বাংলা। গত ৯ অগস্ট হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় ৩১ বছরের তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুনের (Doctor Rape and Murder Case) ঘটনা সাড়া ফেলেছে গোটা দেশে। চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে আগেই সঞ্জয় রায় নামের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। এই CBI তদন্তে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব অভিযোগ।
সিবিআই সূত্রে খবর, তিলোত্তমাকে খুন করাই ছিল আসল লক্ষ্য। পরে সেই খুনকে ধর্ষণের কাণ্ডে জুড়তে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। খুনের ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতেই ’ব্যবহার’ করা হয় সঞ্জয়কে। জানা গিয়েছে তদন্তে নেমে পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ সহ সংশ্লিষ্টদের বয়ান থেকে এমনই বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে।
তাহলে কে বা করা রয়েছে চিকিৎসক খুনের পেছনে? কেন মেরে গেলা হল তরুণী চিকিৎসকে? কারা ছিল সেই রাতে? উত্তর খুঁজছে সিবিআই। গোয়েন্দাদের অনুমান, সেই রাতে তিলোত্তমাকে জখম ও অচেতন অবস্থায় সেমিনার হলে ফেলে রেখে আসা হয়েছিল। তারপরই ধর্ষণের প্লট আনতে ডেকে আনা হয় মদ্যপ সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে।
তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণের জন্য রীতিমতো উত্যক্ত করা হয় সঞ্জয়কে। যৌন লালসার ফাঁদে পা দিয়ে কারও নির্দেশেই পরিকল্পিতভাবে নির্যাতিতাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সঞ্জয়। এমনটাই অনুমান সিবিআই-র। সত্যিই তেমন কিছু ঘটেছিল কিনা তা যাচাই করতে হাসপাতালের বেশ কয়েকজন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: পুজোর চারদিন…! কলকাতাবাসীর জন্য দারুণ সুখবর! কেএমসির এক ঘোষণায় ধন্য ধন্য করছে সকলে
ইতিমধ্যেই সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট (Sanjoy Roy Polygraph Test) করেছে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেখানে সঞ্জয় অবশ্য নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। যান যায় পলিগ্রাফ পরীক্ষার সময় উদ্বিগ্ন এবং অস্থির হয়ে উঠেছিলেন মূল অভিযুক্ত। সিবিআই নানা তথ্য-প্রমাণ সামনে রেখে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে প্রশ্ন করলে সঞ্জয় জানায়, সেমিনার হলে গিয়ে তরুণী ডাক্তারকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় সে। চিকিৎসককে ওই অবস্থায় দেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বলেও দাবি করেছিল সঞ্জয়।