বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৮ আগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে কী হয়েছিল? সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে সিবিআই। বর্তমানে জোরকদমে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এবার এই মামলাতেই (RG Kar Case) সামনে আসছে নতুন আপডেট! জানা যাচ্ছে, সিসিটিভি ফুটেজের ফ্রেম টু ফ্রেম নজরদারি চালানোর পরেও আরজি করের অন্য কোনও তলা কিংবা ঘর থেকে নির্যাতিতাকে সেমিনার হলে নিয়ে আসার প্রমাণ পায়নি সিবিআই।
আরজি করের (RG Kar Case) সিসিটিভিতে নজর কেন্দ্রীয় এজেন্সির!
চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু হওয়ার পর নানান মহল থেকে সিবিআইয়ের (CBI) কাছে তথ্য আসে, আরজি কর হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিল্ডিংয়ের অন্য কোনও তলা অথবা ঘরে নির্যাতিতাকে মারধর করা হয়। এরপর অজ্ঞান অবস্থায় তাঁকে সেমিনার হলে নিয়ে আসা হয়। সিঁড়ি অথবা লিফট দিয়ে তাঁকে নামানো হয় বলে দাবি করা হয়। এরপর সেখানে তাঁর ওপর যৌন নির্যাতন চালায় ধৃত সঞ্জয় রায়।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, আরজি করের (RG Kar Hospital) নির্যাতিতাকে অজ্ঞান অবস্থায় নামিয়ে আনতে গেলে অন্ততপক্ষে চারজন দরকার। খুব গোপনীয়ভাবে তেমনটা করা সম্ভব নয়। যে কারণে নিরাপত্তারক্ষীদের জেরা এবং তাঁদের পলিগ্রাফ পরীক্ষাও করানো হয়। একইসঙ্গে ওই বিল্ডিংয়ের সব তলার সিসিটিভি ফুটেজ এবং চারতলার তিন ও আট নম্বর ক্যামেরার ফুটেজের প্রত্যেকটি ফ্রেমও খতিয়ে দেখেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
আরও পড়ুনঃ দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার! এবার নিয়োগ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত SSC-র! তোলপাড় রাজ্য
তবে কোন ফুটেজেই নির্যাতিতাকে নিয়ে আসা হচ্ছে এমন কিছু দেখা যায়নি বলে খবর। একইসঙ্গে সিবিআইয়ের কাছে নাকি খবর এসেছিল, ৯ আগস্ট ভোররাতে আরজি করে চলে এসেছিলেন তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। সকাল থেকে নাকি নিজের অফিসে বসেই ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনার তথ্য এবং প্রমাণ লোপাট করেন তিনি।
যদিও সিবিআইয়ের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজে এমন কিছুই চোখে পড়েনি। দেহ উদ্ধারের দিন সকাল ১১টার আগে সন্দীপ আরজি করে (RG Kar Hospital) এসেছিলেন এমন প্রমাণ তদন্তকারীরা পাননি বলে খবর। তবে সন্দীপ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের মোবাইলের কল রেকর্ড থেকে তথ্য ও প্রমাণ লোপাট এবং ষড়যন্ত্রের বেশ কিছু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।