বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার (RG Kar Case) পর তিন মাস অতিক্রান্ত। গত ৮ আগস্ট রাতে হাসপাতালের চার দেওয়ালের ভেতর ধর্ষিতা হয়ে খুন হতে হয়েছিল এক তরুণী চিকিৎসককে। এবার এই ঘটনাতেই দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, শিয়ালদহ অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারকের এজলাসে আগামী সোমবার থেকে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
আরজি কর চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের মামলায় (RG Kar Case) বড় সিদ্ধান্ত!
আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই নানান মহল থেকে এই মামলায় দ্রুত বিচারের দাবি উঠেছে। এবার জানা যাচ্ছে, এই লক্ষ্যে আগামী সোমবার থেকে রোজ এই মামলার শুনানি হবে। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের এই ঘটনায় ৫১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হতে পারে আদালতে (Sealdah Court)। আপাতত এমনটাই জানা যাচ্ছে।
রিপোর্ট বলছে, চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের মামলার (RG Kar Case) সাক্ষী তালিকায় নিহত চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যরাও আছেন। এদিকে ইতিমধ্যেই এই মামলার চার্জ গঠন হয়েছে। গত সোমবার শিয়ালদহ আদালতে এই মামলার চার্জ গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে রুদ্ধদ্বার (ইন ক্যামেরা) শুনানিও শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ঘূর্ণাবর্ত-নিম্নচাপের ধাক্কা! শীতের দেখা নেই বাংলায়! আবহাওয়ার মেগা আপডেট দিল মৌসম ভবন
গত সোমবার শিয়ালদহ আদালতে আরজি কর ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Roy) সশরীরে হাজির করানো হয়েছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজেকে ‘নির্দোষ’ বলে দাবি করেন। প্রিজন ভ্যান থেকে মুখ বাড়িয়ে বলেন, ‘আমি নির্দোষ। আমায় ফাঁসানো হচ্ছে’। ডিপার্টমেন্ট তাঁকে ভয় দেখাচ্ছে বলে দাবি করেন ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Case) চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। এই মামলার চার্জশিটে সঞ্জয়কে ধর্ষক এবং খুনি হিসেবে দাবি করা হয়েছে বলে খবর। সিবিআইয়ের তরফ থেকে আদালতে দাবি করা হয়েছে, বায়োলজিক্যাল এভিডেন্সের ভিত্তিতে সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার নেপথ্যে কোনও ষড়যন্ত্র ছিল কিনা তা এখনও তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।