বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যত দিন যাচ্ছে ততই নতুন মোড় নিতে শুরু করেছে আরজিকর (RG Kar) কান্ডের তদন্ত। রাত পোহালেই তিন মাস পূর্ণ হবে এই নারকীয় হত্যাকান্ডের। তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক দুর্নীতির মামলায় নাম জড়িয়েছে সন্দীপ ঘোষ ও প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মন্ডলের। কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরনোর মতোই এবার CBI-এর তদন্তকারী অফিসারদের হাতে এসেছে বেশ কিছু মুছে ফেলা কল রেকর্ডিং।
আরজিকর (RG Kar) কান্ডের মুছে যাওয়া রেকর্ডিং CBI-এর হাতে
যা এতদিন সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মন্ডলের ফোন থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল। প্রমাণ লোপাটের জন্যই আগেভাগে সমস্ত ফোন কল মুছে ফেলা হয়েছিল। CBI সূত্রের খবর এই সমস্ত কল রেকর্ডিং আর ভিডিও ফুটেজ তদন্তের মোর ঘুরিয়ে দিতে পারে। জানা যাচ্ছে উদ্ধার হওয়া ওই ভিডিও ফুটেজের মধ্যে আরজিকর (RG Kar) কান্ডের দিন অর্থাৎ ৯ আগস্ট এবং তার পরের দিনের বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে।
সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মন্ডলের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া চার্জ শিটে এই সব বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু কিভাবে হাতে এলো এই সমস্ত ফোন কল? তদন্তকারী অফিসারদের দাবি অভিজিৎ মন্ডলের ফোনে সব সময় অটো কল রেকর্ডিং মোড অন থাকতো। এই কারণেই মোবাইলে সমস্ত কল নিজে থেকেই রেকর্ড হয়ে গিয়েছিল।
আরজিকর (RG Kar) কান্ডের দিন নাকি অভিজিৎ মন্ডলকে একাধিক নির্দেশ দিয়েছিলেন সঞ্জীব ঘোষ। তাই সমস্ত প্রমাণ লোপাটের জন্য আগেই ঐ সমস্ত কথোপকথন মুছে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি ফরেন্সিক পরীক্ষার মধ্য দিয়েই ওই সমস্ত ডিলিট করে দেওয়া তথ্য আবার উদ্ধার করে ফেলেছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় ১২০ কোটির দুর্নীতির অভিযোগ! বহিস্কৃত TMC পুরপ্রধানকে নিয়ে বড় নির্দেশ হাই কোর্টের
ইতিমধ্যেই CBI-র হাতে এসেছে আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও তালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মন্ডলের মোবাইলের সিএফএসএল রিপোর্টের বিশেষ তথ্য। গত ৯ আগস্ট আরজিকরের ডাক্তারি পড়ুয়া তরুণীর নির্মল ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকটি কল রেকর্ডিং সহ ভিডিও-ও উদ্ধার করা হয়েছে দুজনের মোবাইল থেকে। উদ্ধার হয়েছে ঘটনাস্থলের ভিডিও।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে অনেক চেষ্টাও করেছে সন্দীপ-অভিজিৎ। এমনটাই দাবি করেছে সিবিআই। আর এবার এই সমস্ত মুছে যাওয়া তথ্য আসার পরেই তাদের দুজনের জন্যই আবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত আগে দাবি করা হয়েছিল টালা থানাতেই মূল ঘটনার তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে।
আর এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে দায়ী করা হয়েছিল সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মন্ডলকে। সিবিআই সূত্রে খবর খুন-ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ৯ আগস্ট সকাল থেকে একাধিক ফোন করেছিলেন এই দুই ব্যক্তি। সেই দিন তাদের সাথে কার কার কথা হয়েছিল এবার সেদিকেই নজর থাকবে CBI-এর।