পার্থর প্রতিবেশী হল আর জি কর কাণ্ডের অভিযুক্ত সঞ্জয়, জেলে যেতেই যা করা হল…, তোলপাড়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর (RG Kar) কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। কর্মরত অবস্থায় ৩১ বছরের তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুনের (Doctor Rape and Murder Case) ঘটনা সাড়া ফেলেছে গোটা দেশে। সুপ্রিম কোর্টে চলছে মামলা। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে সঞ্জয় রায় নামের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবার আদালতের নির্দরেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হল সঞ্জয়কে। ঘটনাচক্রে সেই জেলেই বন্দি রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)।

প্রেসিডেন্সি জেলে আর জি কর কাণ্ডের সঞ্জয় (RG Kar)

জেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিবেশী হল আর জি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার। জেল সূত্রে খবর, পয়লা ২২ ওয়ার্ডের ২১ নম্বর সেলে রয়েছে সঞ্জয়। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে রাখা হয়েছে তাকে। জানা গিয়েছে আগে এই সেলে ছিল হাবিব নামে এক খুনের আসামী। তাকে অন্যত্র সরিয়ে সঞ্জয়কে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে।

জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে রাখা হয়েছে সঞ্জয়কে। পাহারায় রাখা হয়েছে বিশেষ দুই কারারক্ষীকে। সঞ্জয়ের প্ৰতি মুহূর্তের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে ৩১ বছর বয়সি ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে উত্তাল দেশ। গত ৮ আগস্ট, মারা যাওয়ার দিন নাইট শিফটে ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ যখন উদ্ধার করা হয়েছিল, তখন পরনের পোশাক অবিন্যস্ত অবস্থায় ছিল।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল তরুণী চিকিৎসককে। নির্যাতিতা চিকিৎসকের মাথায়, গালে, নাকে, ঠোঁটের ভিতরে, বাম কাঁধে ও হাতে, বাম হাঁটুতে, এবং যৌনাঙ্গ মিলিয়ে গোটা শরীরে ১৬টি ক্ষত চিহ্ন মেলে।
তাঁর এন্ডোসার্ভাইকাল ক্যানেলে প্রায় ১৫১ গ্রাম ওজনে গাঢ় সাদা তরল পাওয়া গিয়েছে। তরুণীর রিপোর্ট দেখে অনেকেরই অনুমান এই ঘটনার সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি যুক্ত থাকতে পারে।

সূত্রে জানা গিয়েছে ঘটনার দিন রাতে দু’টি যৌনপল্লিতে গিয়েছিল সঞ্জয়। তবে দু’জায়গাতেই নাকি ঝামেলা করে ফিরে আসে আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজের তথ্য অনুযায়ী, ঘটনার দিন ভোর ৩:৪৫ এর দিকে সঞ্জয় থার্ড ফ্লোরের করিডোর দিয়ে হেঁটে যান। প্রায় ৩০-৪০ মিনিট অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পর ফের তাকে দেখা যায় করিডোরে।

rg kar

আরও পড়ুন: ‘১৪ দিনের মধ্যে..,’ ২০১৭, ২০২২ TET নিয়ে বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের, ভাগ্য ঝুলে কয়েক লক্ষের

যখন তাকে প্রথম হেঁটে যেতে দেখা যায় তখন তার গলায় ইয়ারফোন ঝোলানো ছিল। পরে অবশ্য তা আর দেখা যায়নি তার গলায়। সেই সূত্র ধরেই সঞ্জয়কে চিহ্নিত করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই সিবিআই তরফে সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। পলিগ্রাফ টেস্টের ডন্য সম্মতি দিয়েছে অভিযুক্ত সঞ্জয়ও। তবে এখনও তা করা সম্ভব হয়নি। একবার পলিগ্রাফ টেস্ট করা হলে আরও তথ্য সামনে আসবে। এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর