বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তিলোত্তমা হত্যাকাণ্ডে (Doctor Rape and Murder case) ক্রমশ ঘনাচ্ছে রহস্য। গত ৯ অগস্ট আর কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় ৩১ বছরের তরুণী চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত দেহ। আর জি করে তিলোত্তমা ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় এখন উত্তাল গোটা রাজ্য। ঘটনার পরই এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তদন্ত করছে সিবিআই। এরই মাঝে ৩ তরুণের ভূমিকা নিয়ে বাড়ছে সন্দেহ।
‘সন্দেহভাজন’ ৩ কারা?
তিলোত্তমা ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় এবার সামনে এল তিন মূর্তির নাম। নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর তিলোত্তমার পরিবার যখন টালা থানায় এফআইআর করতে যায় তখন হাজির তাদের পিছু নিয়ে থানায় পৌঁছায় তিন তরুণ। কারা তারা? উঠছে প্রশ্ন। সন্দেহভাজন এই তিনজনকে নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন তিলোত্তমার বিশেষ বন্ধু।
প্রথম সারির এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিলোত্তমার বিশেষ বন্ধু বলেন, থানায় এফআইআর কপি দেখতে চান তিন আগন্তুক। বলেন, ‘তিনজন ছেলে এসেছিল যারা এসে বলে আমার আর জি কর হাসপাতাল থেকে এসেছি। এফআইআর টা একবার দেখতে চাই। তখন আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমার বন্ধুরা তখন তাদের আটকায়।”
জানা গিয়েছে তিলোত্তমার পরিবার এফআরএর এর কপি দেখবেন না বলে জানিয়ে দেন। এও বলেন তাদের কোনো সাহায্যের দরকার নেই। তবে তা সত্ত্বেও তারা সেখানেই বসে ছিলেন। যতক্ষণ না তিলোত্তমার পরিবার থানা থেকে বেরোয় ততক্ষণ সেখানেই ছিলেন ওই তিন যুবক। এখানেই দানা বাঁধছে রহস্য। কারা এই তিন মূর্তি? ঠিক কী কারণে এফআইআর দেখার জন্য এত উতলা হলেন তারা?
আরও পড়ুন: হঠাৎ নবান্নে মমতা-ঋতাভরীর বৈঠক, ঠিক কী হল সেখানে? অবশেষে সামনে এল সত্যিটা
আর জি করের (RG Kar) আন্দোলনকারীরা জানান তারা এই তিনজনকে চেনেন না। পাশাপাশি তাদের কোনো প্রতিনিধিকে থানায় পাঠানো হয়নি বলেও পরিষ্কার জানান তারা। তাহলে কারা সেদিন থানায় বসেছিলেন? কী উদ্দেশ্য ছিল তাদের? এমনই হাজারো প্রশ্ন উঠে আসছে সামনে।