বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত অগস্টের আর জি কর ( RG Kar) হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের (RG Kar Doctor Rape and Murder Case) ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সঞ্জয় রায় (Sanjay Roy)। ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ ঘটনা নয় বলে মৃত্যুদন্ড হয়নি সঞ্জয়ের। শিয়ালদা আদালত আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছে সঞ্জয়কে। অর্থাৎ যতদিন বাঁচবে যেতেই কাটাতে হবে তাকে। জানা যাচ্ছে জেলে টাকাও দেওয়া হবে সঞ্জয় রায়কে।
যদিও সেই টাকা পাওয়ার জন্য আরজি কর মামলায় সাজাপ্রাপ্তকে দোষীকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে হাড়ভাঙা খাটুনিও করতে হবে। কাজের পরিবর্তে সেই টাকা পাবেন সঞ্জয়। এক সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে খুব সম্ভবত মালির কাজ করবে সঞ্জয়।
এই নিয়ে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘সংশোধনাগারে প্রত্যেক বন্দীকে কিছু না কিছু করতে কাজ করে খেতে হয়। সঞ্জয় দক্ষ নন। তাই ওকে এমন কাজে রাখতে হবে যাতে কায়িক পরিশ্রম রয়েছে।’ প্রাথমিকভাবে বাগান পরিচর্যার কাজে অর্থাৎ মালি হিসেবে কাজ করতে পারে সঞ্জয় রায়।
তবে ধীরে ধীরে প্রশিক্ষণের পরে সঞ্জয়কে জামাকাপড়, কাঠ, বাসন তৈরি বা কোনও জিনিসপত্র তৈরির কাজে লাগিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। রান্নাঘরেও কাজ করানো হতে পারে তাকে দিয়ে। উল্লেখ্য, চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলায় শিয়ালদা আদালত সঞ্জয়কে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ ধারার আওতায় সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৬৬ ধারার আওতায় সশ্রম ও আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে।
এক জেল আধিকারিকের কথায়, ‘সঞ্জয় যদি কাজ করতে না পারে, তাহলে ওকে খাবার দিতে এবং বাসন পরিষ্কার করতে বলা হবে। জেলের বন্দিদের সকলকেই কাজ করতে হয়। কে কী কাজ করবে, সেটা প্রতিদিন সকালে বা সপ্তাহের শুরুতেই ঠিক করা হয়।’
আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে বাড়ছে তাপমাত্রা! এরই মধ্যে হাজির বৃষ্টি, এক নজরে আবহাওয়ার খবর
কত টাকা পেতে পারে সঞ্জয়? সংশোধনাগারে অদক্ষ বন্দি কর্মী দৈনিক ১০৫ টাকা মজুরি পায়। আংশিকভাবে দক্ষ কর্মীদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা। আর দক্ষ কর্মীরা ১৩৫ টাকা করে পায়। কাজের বিনিময়ে অর্জিত সেই মজুরির টাকা রাজ্য কারা দফতরের নিয়ন্ত্রিত অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সঞ্জয়ের ক্ষেত্রেও তাই হবে।