বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যজুড়ে তখন নারী স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন চলছে। সেই সময় আরজি কর হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর চালাল (RG Kar Hospital Attack) একদল দুষ্কৃতী। বুধবার রাতে আরজি কর কাণ্ডের নির্যাতিতার ন্যায়বিচার চেয়ে পথে নেমেছিল হাজার হাজার মানুষ। হাসপাতালের সামনেও বিপুল জমায়েত হয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। ঘড়ির কাঁটা মধ্যরাত পেরোতেই দুষ্কৃতীরা হানা দেয় হাসপাতালে।
‘রাত দখলে’র মাঝেই আরজি কর দুষ্কৃতী তাণ্ডব (RG Kar Hospital Attack)!
ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন একদল যুবক। ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশকর্মী থাকলেও তাঁরা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেননি। আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি ভেতর থাকা ডাক্তারদের ওপর হামলা চালানো হয়।
জানা যাচ্ছে, এদিন রাতে জরুরি বিভাগের (RG Kar Hospital) সামনে প্রথমে ব্যাপক হট্টগোল করা হয়। ভেতরে থাকা চিকিৎসার সামগ্রী ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। ৩০-৪০ জন যুবকের একটি দল হাসপাতালে এই তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে বলে খবর। এমনকি সূত্রের খবর, চারতলার যে সেমিনার রুমে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল, যা সিবিআই সিল করে দিয়ে গিয়েছে, সেখানকার দরজাও ভেঙে ফেলা হয়।
আরও পড়ুনঃ স্বাধীনতা দিবসেও ঝেঁপে বৃষ্টি বাংলায়! আজ ৮ জেলায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাসঃ আবহাওয়ার খবর
হাসপাতালের এমারজেন্সি বিল্ডিংয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে দোতলা অবধি তাণ্ডবলীলা চালায় তারা। এমারজেন্সি ওয়ার্ড থেকে শুরু করে নার্সিং স্টেশন, সব তছনছ করে দেওয়া হয়। লাখ টাকার ওষুধও নষ্ট হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। হাসপাতালে কেন এই হামলা চালানো হল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানান জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। কারোর দাবি, ‘রাত দখল’ আন্দোলন কালিমালিপ্ত করতে এমনটা হয়েছে, কেউ আবার তথ্য প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। এখনও অবধি আসল কারণ প্রকাশ্যে না এলেও ইতিমধ্যেই এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরজি করে হামলার (RG Kar Hospital Attack) এই ঘটনায় আহত হয়েছেন একাধিক পুলিশকর্মী। কেউ মাথায় চোট পেয়েছেন, কারোর আবার মুখ থেকে রক্ত বেরোতে দেখা গিয়েছে। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ডিসি নর্থের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রাতে আরজি করে তাণ্ডবলীলা (RG Kar Hospital Attack) চালানোর পর হাসপাতাল চত্বর এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমন দৃশ্য দেখে মর্নিং ডিউটিতে আসা নার্সরা কার্যত অবাক। ধ্বংসস্তূপ থেকেই তাঁরা চিকিৎসার সামগ্রী খোঁজার চেষ্টা করছেন বলে খবর। এর ফলে তো সেই সাধারণ মানুষেরই ক্ষতি হল, বক্তব্য তাঁদের।