বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আবার শিরোনামে কলকাতার আরজি কর (RG Kar) মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। উত্তর কলকাতার অন্যতম প্রধান এই হাসপাতালেই এবার অকেজো বায়ো কেমিস্ট্রি বিভাগে থাকা মেশিন। যার ফলে এবার ‘যন্ত্রের যন্ত্রণায়’ ভুগছেন হাসপাতালের বহু রোগী। অভিযোগ গত মাসের শেষের দিক থেকেই খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে এই মেশিন। যার ফলে ক্যান্সার বায়ো মার্কার, বিভিন্ন হরমোন থেকে ভিটামিন, কোনও পরীক্ষাই করা যাচ্ছে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টাকা খরচ করে বাইরে থেকে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে রোগীদের। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি বিষয়টি অনেক আগেই কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছে কর্তৃপক্ষও।
ফের শিরোনামে আরজি কর (RG Kar)
আরজি করের (RG Kar) মতো এমন জনপ্রিয় হাসপাতালের জরুরি মেশিন অকেজো হয়ে পড়ায় বন্ধ রয়েছে ক্যান্সার নির্ণয়ের পরীক্ষা, ক্যান্সার বায়ো মার্কার, বিভিন্ন হরমোন এবং ভিটামিন-এর মত পরীক্ষা। এত বড় সরকারি হাসপাতালে জানুয়ারি মাসের শেষের দিক থেকেই বিকল হয়ে পড়ে আছে এই সমস্ত পরীক্ষার বড় মেশিনটি। অন্যদিকে ছোট মেশিনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক টালবাহানা।
খাস কলকাতার বুকে অবস্থিত আরজি করের (RG Kar) মত বড় হাসপাতালের এমন অবস্থা দেখে হা-হুতাশ করছে অধিকাংশ রোগীর পরিবার। বিশেষ করে ক্যান্সারের মতো মরণ রোগের যারা শিকার সেই সমস্ত রোগী এবং তার পরিবারের চরম হয়রানি হচ্ছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রোগীদের ছুটতে হচ্ছে বাইরে।
আরজি কর হাসপাতালের এক রোগীর আত্মীয়র অভিযোগ, ‘রোগীর এমার্জেন্সি, বাইরে থেকে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। টাকা নিচ্ছে।’ প্রসঙ্গত গত বছরের আগস্ট মাসে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসকের নির্মম ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের পর অপরাধীদের চরম শাস্তি দাবি করার পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল ওই সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নত করতে হবে।
আরও পড়ুন: পোস্টার দেখেই তাপসের প্রেমে কাত! স্কুল জীবনের প্রেম নিয়ে অকপট BJP বিধায়ক অগ্নিমিত্রা
অভিযোগ তখন থেকেই নাকি হাসপাতালের বায়ো কেমিস্ট্রি বিভাগে থাকা বড় মেশিনটি মাঝেমধ্যেই খারাপ হতে শুরু করে। তখনই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মেইল করে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। তখন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অস্থায়ীভাবে একটি ছোট মেশিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এরই মধ্যে জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে বড় মেশিনটি পুরোপুরি খারাপ হয়ে যায়। অন্যদিকে ছোট মেশিনটিতে পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সামগ্রীও ফুরিয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের ক্রয় তালিকার বাইরে থাকা ছোট মেশিনের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার ক্ষেত্রে বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত এই মুহূর্তে আরজি কর মেডিক্যালের দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্ত চলছে। তাই এই অনুমতি নিয়ে এখনও টালবাহানা চলছে। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি সিনিয়র ডাক্তাররাও হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে নানান অভিযোগ করেছেন। যদিও গোটা ঘটনায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে পরিস্থিতির জটিলতার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।