বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) আর্থিক দুর্নীতি দমন মামলায় এই FIR দায়ের করা হয়েছে। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় যখন উত্তাল গোটা রাজ্য, তখন এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
১ বছর আগেই সন্দীপের ‘কীর্তি’ ফাঁস করেন ডেপুটি সুপার (RG Kar Hospital)!
আরজি কর কাণ্ডে শুরু থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন সন্দীপ। যদিও এই প্রথম নয়, এর আগে তাঁর নাম জড়িয়েছে বিতর্কে। ২০২৩ সালে সন্দীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। এবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতে FIR দায়ের করা হল। এই মর্মে মঙ্গলবার আখতারকে স্বাস্থ্যভবনে ডাকা হয়েছিল।
আখতার বলেন, ‘আমি ওর দুর্নীতির বিরুদ্ধে, চিকিৎসা বর্জ্য, অবৈধ ট্রাফিকিং, গেস্ট হাউসে ছাত্রদের মদ্যপান করানো, পড়ুয়াদের ফেল করানো, টেন্ডারের ২০% কমিশন নেওয়া, ক্যান্টিন, স্টল, সুলভ শৌচালয়ের মতো সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে টাকার পরিবর্তে অন্যের হাতে তুলে দেওয়া, নিজের লোকেদের টেন্ডার ছাড়াই বরাত দেওয়া নিয়ে ভিজিল্যান্স কমিশন, দুর্নীতি বিরোধী ব্যুরো, স্বাস্থ্যভবনে জানাই। ওর সঙ্গে এই নিয়ে মুখোমুখি যুদ্ধ বাঁধে। ২০২৩ সালে প্রথম অভিযোগ জমা দিই। তখন মুখ্যমন্ত্রী দফতরে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলাম’।
আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডে তুমুল ট্রোলড! রাত পোহালেই বিরাট ‘কাণ্ড’ ঘটাচ্ছেন সৌরভ! তোলপাড় বাংলা
আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার জানান, এক দিন অন্তর অন্তর স্যালাইনের বোতল, ব্যবহার হয়ে যাওয়া সিরিঞ্জ, হ্যান্ড গ্লাভস, রবারের গ্লাভস সহ ৫০০-৬০০ কেজি মান বেরোত। এসব নিয়ে একটা র্যাকেট চলতো। রাজু এবং পাঁচু নামের দুই বাংলাদেশি নাগরিক এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে দাবি করেন আখতার। তাঁরা এগুলো ওপার বাংলায় রিসাইকেল করতো। এই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। আখতারও এই তদন্ত কমিটির অংশ ছিলেন। এরপর রিপোর্ট জমা দেওয়ার দিনেই তিনি বদলি হয়ে যায়। বাকি দু’জনেরও বদলি করে দেওয়া হয়। এরপর কমিটি ভেঙে সেই রিপোর্ট ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া হয়।
এক বছর আগে আরজি করের (RG Kar Hospital) অন্দরে চলতে থাকা দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ করলেও এখন FIR দায়ের করা হয়েছে। সম্প্রতি এই জন্য চার সদস্যের বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সন্দীপ জমানায় হাসপাতালে যত দুর্নীতি হয়েছে সেটা নিয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁদের। জানা যাচ্ছে, চার সদস্যের এই সিট আখতারের অভিযোগ নিয়েও তদন্ত করছে। সেই কারণেই তাঁকে ডাকা হয়েছিল। আগামীদিনে তাঁর থেকে প্রমাণও চাওয়া হতে পারে বলে খবর।