বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) ঠিকানা এখন জেল। চিকিৎসক ধর্ষণ হত্যাকাণ্ড এবং আর্থিক দুর্নীতি, দুই মামলাতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এবার সেই সন্দীপকে নিয়ে সামনে আসছে নয়া খবর! তাঁর ‘বেআইনি’ বাড়ির শুনানির সময় হিয়ারিং অফিসারের ঘর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বলে খবর।
মাঝপথেই বন্ধ হল সন্দীপের (Sandip Ghosh) ‘অবৈধ’ বাড়ির শুনানি!
জানা যাচ্ছে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বেলেঘাটার বাড়ি নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেটি ‘বেআইনি’ বলে ইতিমধ্যেই নোটিশ লাগিয়েছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। বুধবার এই বিষয়ে শুনানি ছিল। সেই সময়ই হিয়ারিং অফিসারের ঘর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বলে খবর। সেখান থেকে বেরিয়ে যান সন্দীপের আইনজীবী।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথম থেকেই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন পুরসভার তরফ থেকে শুনানির দায়িত্বে থাকা আধিকারিক এবং অভিযোগকারী অংশুমান সরকার। অভিযোগকারীর দাবি, শুনানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি থাকা দরকার। তবে সেগুলি আনার বিষয়ে পুরসভার কোনও সক্রিয় ভূমিকা নেই। আরজি করের (RG Kar Hospital) প্রাক্তন অধ্যক্ষকে পুরসভা বাঁচাতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ‘ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লক্ষ দেব’! দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন কবে? দিনক্ষণ ঘোষণা মমতার
জানা যাচ্ছে, এদিন পুরসভার হিয়ারিং অফিসারের সামনেই অভিযোগকারী অংশুমান দাবি করেন, ওই বাড়ি সম্পূর্ণ অবৈধ। এভাবে ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। পুরসভা কেন কোনও তথ্য জোগাড় করতে পারল না? প্রশ্ন করেন তিনি। সেই সঙ্গেই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন বলে খবর।
অন্যদিকে সন্দীপের (Sandip Ghosh) আইনজীবী আবার বলেন, এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ্রর এজলাসে একটা স্থগিতাদেশ পাওয়া গিয়েছে। তবে পুরসভার শুনানি চালাতে কোনও বাধা নেই। এদিন পুরসভা বেশ কিছু নথি দেখাতে পারেনি। ফের যেদিন শুনানির সময় দেওয়া হবে সেদিন আসবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে জানা যাচ্ছে, সন্দীপের (Sandip Ghosh) বেলেঘাটার বাড়ি ‘বেআইনি’ বলে নোটিশ লাগিয়ে দেওয়া হলেও বাড়ির নকশা, বাড়ির কতখানি অংশ অবৈধভাবে বানানো হয়েছে সেই তথ্য পাওয়া যায়নি। দাবি অভিযোগকারীর। কেন এখনও এগুলি হাতে এল না, আপাতত এই প্রশ্নই মাথাচাড়া দিয়েছে।