বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত আগস্ট মাস থেকে শিরোনামে রয়েছে আরজি কর হাসপাতাল (RG Kar Hospital)। চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর প্রকাশ্যে এসেছে হাসপাতালে ভেতর হওয়া নানান দুর্নীতির অভিযোগ। এবার যেমন মর্গের দু’টি ভিডিও ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট।
আরজি করের (RG Kar Hospital) মর্গের ভিডিও ঘিরে শোরগোল!
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে একথা জানা গিয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, মেঝেতে শোয়ানো রয়েছে এক তরুণীর মৃতদেহ। গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। গলার সেই ফাঁস এবং মৃতদেহের বাইরের নানান চিহ্ন পরীক্ষা করছেন দু’জন যুবক। একজন সামনে দাঁড়িয়ে লিখে নিচ্ছেন।
আরেকটি দৃশ্যে আবার দেখা যাচ্ছে, আরজি করের (RG Kar Hospital) মর্গের অফিসে টেবিলের সামনে অ্যাপ্রন পরিহিত একজন দাঁড়িয়ে। সামনে চিরকুট হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন একজন যুবক। যে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে তার ওজন, মাথায় কী ধরণের আঘাত রয়েছে সেসব শুনে একজন ব্যক্তি লিখে নেন। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
আরও পড়ুনঃ ছাব্বিশে বাংলার ক্ষমতায় BJP! ‘অলীক স্বপ্ন দেখছেন’, সুকান্তর দাবির পাল্টা দিলেন কুণাল
সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে দুই যুবক তরুণীর দেহ পরীক্ষা করছিলেন, তাঁরা পেশায় ডোম। চিরকুটে তথ্য লিখে নেওয়া ব্যক্তি হেড ডোম। অন্যদিকে ভিডিওয় সাদা অ্যাপ্রন পরিহিত যে ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে, তিনি ফরেন্সিক মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের (Forensic Medicine Department) সিনিয়র ডাক্তার।
এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই মাথাচাড়া দিয়েছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। ডোমেরা মৃতদেহ পরীক্ষা করছেন, তাঁদের থেকে শুনে ডাক্তাররা যদি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট (Postmortem Report) তৈরি করেন, তাহলে গলদ থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ফরেন্সিক ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধানকে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হয়।
একজন ডোম কি মৃতদেহের ভেতরের ও বাইরের আঘাত পরীক্ষা করতে পারেন? জবাবে আরজি করের (RG Kar Hospital) ওই অধ্যাপক-চিকিৎসক বলেন, না। আমরা শিক্ষকরা কিংবা পিজিটিরা ময়নাতদন্ত করি। ডোমেরা শুধু সহযোগিতা করেন। পরে আমরা দেখে নিই। পরবর্তীতে ভিডিওর কথা উঠতেই তিনি আর কোনও জবাব দিতে চাননি বলে খবর।