বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হুগলির কোন্নগরের এক যুবককে। অভিযোগ, সেখানে ‘বিনা চিকিৎসা’য় মৃত্যু হয় তাঁর। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। এবার এই ঘটনাতেই প্রকাশ্যে এল বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য!
তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন (RG Kar Hospital)!
জানা যাচ্ছে, কোন্নগরে বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন বিক্রম ভট্টাচার্য নামের এক যুবক। তাঁর দু’পায়ের ওপর দিয়ে লরি চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে প্রথমে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় আরজি কর (RG Kar Hospital)। এবার এই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
- বিস্ফোরক শ্রীরামপুরের হাসপাতালের সুপার!
সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে শ্রীরামপুরের ওই হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি বলেন, তাঁকে ডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে কিছু বলতে বারণ করা হয়েছে। এরপর ওই সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকেই একটি স্টিং অপারেশন চালানো হয়। সেখানে সুপার প্রণবেশ হালদারকে বলতে শোনা যায়, আমাদের রেফারাল ইউনিট হচ্ছে মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা। সেটাই বলা হয়েছিল। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার আরজি করে নিয়ে যায় বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য সুখবর! পুজোর আগেই বিরাট উদ্যোগ রাজ্য সরকারের
এখানেই শেষ নয়, হাসপাতালের সুপার জানান, ওই অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার শ্রীরামপুরের নন। তিনি কোন্নগর পুরসভার একটি অ্যাম্বুলেন্সের চালক। তিনি বলেন, ওই যুবককে প্রথমেই মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। কেন তাঁকে আরজি করে নিয়ে যাওয়া হল সেটা জানেন না বলে দাবি করেন প্রণবেশ। এদিকে কোন্নগর পুরসভা আবার তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত। ফলে এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
জানা যাচ্ছে, শ্রীরামপুরের কাছাকাছি বেশ কয়েকটি হাসপাতাল রয়েছে। কোন্নগরে একটি মিউনিসিপ্যালিটি হাসপাতাল রয়েছে, উত্তরপাড়ায় একটি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল রয়েছে। এছাড়া গঙ্গা পেরিয়ে একটু গেলেই রয়েছে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ। এই সব ছেড়ে কেন কলকাতার আরজি করে যাওয়া হল? এবার এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
তাহলে কি পরিকল্পিতভাবে এমনটা করা হল? আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) ডাক্তারদের আন্দোলন কালিমালিপ্ত করতেই এমন ‘ছক’? উঠেছে এই প্রশ্ন। এদিকে বিক্রম নামে প্রয়াত ওই যুবকের পরিবার অভিযোগ করেছিল, বিনা চিকিৎসায় অন্তত ২ ঘণ্টা পড়েছিল সে। যদিও আরজি করের সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। এর মাঝেই শোরগোল ফেলে দিল স্টিং অপারেশনের এই ভিডিও।