বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেখতে দেখতে এক সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে। গত সপ্তাহে আরজি কর হাসপাতাল থেকে তরুণী চিকিৎসকের নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এরপর সেই জল অনেকদূর গড়িয়েছে (RG Kar Incident)। কলকাতা পুলিশের থেকে ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। রাজ্যজুড়ে চলছে প্রতিবাদ। এর মাঝে সামনে এল নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট।
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) প্রকাশ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট!
হাসপাতাল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একজন গ্রেফতার হলেও এই কাণ্ডের সঙ্গে একাধিকজন জড়িয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান করছেন অনেকে। এর মাঝেই প্রকাশ্যে এল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। যা কার্যত শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
নিহত তরুণীর শরীরে যে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তা আগেই জানা গিয়েছিল। এবার সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে সূত্র উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট (Postmortem Report) থেকে জানা গিয়েছে, তাঁর শরীরের ২৫ জায়গায় ক্ষতচিহ্ন ছিল। মাথা, হাত, গলা, যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষত ছিল বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ আরজি করের ডাক্তারের দুর্ভাগ্যজনক পরিণতি! মমতার বিরুদ্ধে পোস্ট করে চরম বিপাকে ছাত্র!
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, নির্যাতিতার মৃত্যুর কারণ হিসেবে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে শ্বাসরোধ করার কথা বলা হয়েছে। গলা টিপে ধরার পাশাপাশি তরুণীর মুখও চেপে ধরা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে পিএম রিপোর্টে। শুধু তাই নয়, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর আগে অসচেতন অবস্থায় ওই তরুণীর ধর্ষণ করার ইঙ্গিত মিলেছে বলে খবর।
মৃতার সারা শরীরে একাধিক আঁচড়, কামড়ের দাগ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে (RG Kar Incident)। পিএম রিপোর্টে চিকিৎসকদের দাবি, ‘তরুণীর যৌনাঙ্গে বলপূর্বক পুরুষাঙ্গ প্রবেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যা যৌন নিপীড়নের ইঙ্গিতবাহী’।
এদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই ব্যক্তিই আসল দোষী কিনা তা জানতে বেশ কিছু ফরেন্সিক পরীক্ষায় প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা মনে করছেন, তরুণী চিকিৎসকের যোনি থেকে পাওয়া শুক্রাণু এবং কামড়ের জায়গা থেকে পাওয়া লালারসের নমুনা সংগ্রহ করলে আসল অপরাধীকে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।