বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন! আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) বর্তমানে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ধৃত সঞ্জয় রায় ইতিমধ্যেই নিজের দোষ কবুল করেছেন। তবে তিনি কি একাই অপরাধী নাকি জড়িত অন্য কেউ? ক্রমেই জোরালো হচ্ছে এই প্রশ্ন। এসবের মাঝেই সামনে এল আরেক হাড়হিম করা কাহিনী। সিসিটিভি ফুটেজে ফাঁস হয়েছে সেদিন রাতের কিছু ঘটনা।
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) ভয়ানক তথ্য ফাঁস!
পুলিশের তরফে জানা যাচ্ছে, হাসপাতালের সেমিনার হলে ভোর ৪টে থেকে সাড়ে ৪টের মধ্যে এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, তরুণী চিকিৎসকের ওপর যখন হামলা চালানো হয় সেই সময় তিনি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। পুলিশের অনুমান, টানা ডিউটির কারণে হয়তো তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন, সেই কারণেই গভীর ঘুমে ছিলেন ওই চিকিৎসক। আর তখনই ঘটে ওই ঘটনা (RG Kar Incident)।
হাসপাতালের (RG Kar Hospital) সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, নিহত চিকিৎসক যে সেমিনার হলে শুয়ে ছিলেন, সেখানে রাত ৩টের পরে ঢুকেছিলেন অভিযুক্ত। প্রায় ৪৫ মিনিট তিনি সেখানে ছিলেন। সঞ্জয়ের কানের হেডফোনও সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে বলে খবর। পরবর্তীতে এই হেডফোনই তাঁকে ধরিয়ে দেয়। ইতিমধ্যেই পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার নিজের দোষ কবুল করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ পাল্টে গেল মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাস? যুক্ত হল দু’টি নতুন বই, জারি বিজ্ঞপ্তি
এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, হামলার সময় নিজেকে বাঁচানোর জন্য ওই তরুণী চিকিৎসকের যতখানি প্রতিরোধ করা স্বাভাবিক, ততখানি তিনি করেননি। শুধু তাই নয়, পুলিশের অনুমান হয়তো মৃত্যুর পর ধর্ষণ করা হয়েছিল ওই তরুণীকে। যদি এমনটাও হয়ে থাকে, তাহলেও কি হামলার সময় ওই চিকিৎসকের সাহায্যের জন্য চিৎকার করেননি? দেখা দিয়েছে সেই প্রশ্ন।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, চেস্ট মেডিসিন ওয়ার্ডের মধ্যে দিয়ে সেমিনার হলের দিকে যাচ্ছেন অভিযুক্ত (RG Kar Incident)। সেখানে যে চিকিৎসক রয়েছেন সেকথা সে জানল কী করে? এমতাবস্থায় পুলিশের প্রশ্ন, স্রেফ কি যৌন লালসা মেটানোর জন্য এই ঘটনা নাকি আরও কেউ যুক্ত ছিল? অনেকের অনুমান, সঞ্জয় একা নন, আরও কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। কেউ একজন হয়তো নির্যাতিতার মুখ চেপে রেখেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। আসল ঘটনা কী? তদন্ত এগোনোর সঙ্গেই তা প্রকাশ্যে আসবে।