বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার রাতে একদিকে যখন রাজপথে নেমেছেন নারীরা, তখন আচমকাই আরজি করে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। ভাঙচুর চালানো হয় সেখানে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রাজনীতির ছোঁয়া লেগেছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই দাবি করেছিলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে। এবার তৃণমূল কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ এক যুবক (RG Kar Mob Attack) নিজেই ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে স্বীকার করে নিলেন হামলার কথা।
আরজি করে ভাঙচুর (RG Kar Mob Attack) তৃণমূল কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠের!
সম্প্রতি সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে আরজি করে হামলা চালানোর কথা স্বীকার করে নেন পেশায় জিম ট্রেনার সৌমিক দাস। দমদমের পূর্ব সিঁথি নিবাসী এই যুবক তৃণমূল কাউন্সিলর রাজু সেন শর্মার ঘনিষ্ঠ বলে খবর। সৌমিক জানান, আরজি করের হামলার পিছনে কারোর প্ররোচনা ছিল না।
হামলাকারীর বলেন, তিনি প্রতিবাদ মিছিলে গিয়েছিলেন। এরপর অন্যদের সঙ্গে আরজি করে (RG Kar Hospital) ঢুকে ভাঙচুর চালান। সৌমিকের কথায়, ‘ইমোশনালি আমিও ওখানে ভাঙচুর করেছি। ওটা সত্যিই আমার অপরাধ হয়েছে, ভুল হয়েছে’। তিনি জানান, কারোর প্ররোচনা ছিল না। তিনি নিজে থেকেই গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডে ফুঁসছে বাংলা! ‘বিশেষ’ আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে সন্দীপ, বড় নির্দেশ বিচারপতির!
পেশায় জিম ট্রেনার ওই যুবক বলেন, সেদিন রাতে তাঁর চেনা পরিচিত অনেকেই মিছিলে গিয়েছিলেন। যেখানে জিম করেন, সেখান থেকেও অনেকে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন সৌমিক। পুলিশের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল কিনা জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, গতকাল পুলিশ ফোন করেছিল। তবে এক জায়গায় গিয়েছিলেন বলে আসতে পারেননি।
এদিকে হামলাকারীর এই স্বীকারোক্তির পর কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কীভাবে হাসপাতালে ভাঙচুর (RG Kar Mob Attack) চালিয়ে দিব্যি বাড়িতে বসে আছেন তিনি? এখনও কেন হামলাকারীকে ধরেনি পুলিশ? তৃণমূল কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ বলেই কি ছাড়? দেখা দিয়েছে এমনই নানান প্রশ্ন।