বাংলা হান্ট ডেস্ক : আরজিকর কান্ডের প্রতিবাদের রেশ বজায় রেখেই পুজোর সাজ নিয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। দেখতে দেখতে শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজো। মর্ত্যে আগমন ঘটেছে উমার। কিন্তু দেবীর আগমন ঘটলেও এখনও এই সমাজেই বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষরূপী অসুরের দল। তাইতো এখনও অধরা তিলোত্তমার অপরাধীরা। কিন্তু এবার সবাই বদ্ধপরিকর তিলোত্তমা বিচার না পাওয়া পর্যন্ত কিছুতেই নিভভে না প্রতিবাদের আগুন।
পুজোর সাজে প্রতিবাদের ভাষা রাখার কথা জানালেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)
তাই এখনো শেষ হয়নি আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদ আন্দোলন। দেখতে দেখতে দু’মাস হয়ে গেলেও এখনও বিচার পায়নি নির্যাতিতা। অন্যদিকে নিজের নিয়মে দুর্গাপুজা শুরু হয়ে গেলেও অন্যান্য বারের তুলনায় এই বছরের দুর্গাপুজো অনেকটাই ম্লান। উৎসবের আলোয় সেজে উঠেছে শহরের নানা প্রান্ত। কিন্তু এবার সেই জৌলুস আর নেই। তবে এই প্রতিবাদের মধ্যেই উৎসবে ফেরার চেষ্টা করে চলেছেন মানুষ। কিন্তু মন থেকে পেরে উঠছেন না অনেকেই।
তাই এবার দুর্গা পুজোর সাজেও প্রতিবাদের ভাষা থাকার বার্তা দিয়েছিলেন টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। আরজিকরের নির্যাতিতা তরুণীর দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতীকী প্রতিবাদ জানিয়ে শঙ্খ বাজিয়েছিলেন নায়িকা (Rituparna Sengupta)। কিন্তু তাঁর সেই শঙ্খ বাজানোর কায়দা দেখে তাঁর ওপর প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন আমজনতা। অভিনেত্রীর ওপর দর্শকদের সেই রাগ কমেনি এখনও।
আরও পড়ুন : ‘ন্যাকামো…আনলিমিটেড’! তিলোত্তমার বিচার চেয়ে শঙ্খ বাজানোর পর আবার ট্রোলড ‘শঙ্খদিদি’ ঋতুপর্ণা
তবে দর্শকরা মুখ ফিরিয়ে নিলেও অভিনেত্রী নিজের মতো করে প্রতিবাদ করে চলেছেন। তাই তিনি ঠিক করেছেন এবারের দুর্গাপুজোর সাজেও তিনি রাখবেন প্রতিবাদের ছোঁয়া। কিন্তু কিভাবে? এপ্রসঙ্গে সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণা বলেছেন, ”সাজের বদলের সঙ্গে ব্যক্তিত্বের সংজ্ঞা বদলে যায়। তাই এবার ফ্যাশন আর প্রতিবাদের ভাষা মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে।’
শুধু তাই নয় সেই সাথে এদিন অভিনেত্রী জানিয়েছেন এখনও আমাদের সমাজে কোথাও না কোথাও মেয়েদেরকে দমিয়ে রাখা হয়। ঋতুপর্ণার কথায়, ‘পুরুষশাসিত সমাজে আমরা অভ্যস্থ। আজও কোথাও না কোথাও গিয়ে মহিলাদের দমিয়ে রাখা হয়েছে। না, এতে কিন্তু কোনও পুরুষ বিদ্বেষ নেই। তবে মহিলাদের যে দমিয়ে রাখা হয়েছে সেটার প্রমাণ আমরা প্রতি মুহূর্তে পাই।’