বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পেরিয়েছে প্রায় ছয় মাস। আর জি কর (RG Kar) মেডিকেল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় (RG Kar Rape And Murder Case) এবার কলকাতা হাইকোর্টে রি-ট্রায়ালের আবেদন জানাতে চলেছেন তিলোত্তমার পরিবার। আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়। শিয়ালদা আদালত তাকে আজীবন কারাদন্ডের সাজা দিয়েছে।
আর জি কর কাণ্ডে ঘুরবে মোড়? (RG Kar)
আর জি কর ঘটনায় সেই প্রথম দিন থেকেই নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, তার মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করার মত ঘটনা সঞ্জয় রায়ের একা নয়। এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কেউ কেউ জড়িত রয়েছে যারা এখনও খোলা ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। সন্দেহের তালিকায় ঘটনার দিন যে চার জন জুনিয়ার ডাক্তার ছিলেন তারাও।
যাতে আসল ‘সত্যি’ সামনে আসে, সকলের কঠোর শাস্তির দাবিতেই এবার হাইকোর্টের রি-ট্রায়ালের আবেদন জানাতে চলেছেন নির্যাতিতার পরিবার। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ শুরু করেছেন তারা। মালদার ব্যক্তিগত আইনজীবী তড়িৎ ওঝার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন তিলোত্তমার বাবা-মা।
কোন পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে হাইকোর্টে রি-ট্রায়ালের আবেদন করা যেতে পারে, সে বিষয়ে এদিন ব্যক্তিগত আইনজীবী তড়িৎ ওঝার সঙ্গে কথা-বার্তা বলেন তারা। এদিন সকালে আইনজীবীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন আরজিকর কান্ডের নির্যাতিতা তরুনীর পরিবার। তিলোত্তমার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই বিষয়ে মন্তব্য করেন আইনজীবী তড়িৎ ওঝা।
তিনি বলেন, “আরজিকর (RG Kar) কান্ডের ঘটনায় শুধুমাত্র সঞ্জয় রায় দোষী এই যুক্তি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আসলে এই মামলায় যারা প্রথম থেকে যুক্ত তাদের এখনও ধরা হয় নি। এর সঙ্গে আরও অনেকেই যুক্ত রয়েছে। প্রথম তদন্তে কলকাতা পুলিশ যা করেছে, সেটির উপরে ভর করে পরবর্তীতে সিবিআই চার্জশিট দিয়েছে।”
আরও পড়ুন: যোগেশচন্দ্রের পর তালিকায় আরও এক কলেজ! সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল
আইনজীবী আরও বলেন, ” শিয়ালদা কোর্টে ৩৭ টি প্রশ্ন দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি উচ্চ আদালতেও ৫৪ টি প্রশ্ন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আর জি কর (RG Kar) ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় দোষী প্রমাণিত হয়েছে। তার সাজা হয়েছে। উচ্চ আদালতে রি-ট্রায়ালের সমস্ত প্রক্রিয়ার বিষয়গুলি নিয়ে এদিন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা আমার সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন”। (RG Kar)