বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ক্যালেন্ডারের হিসাবে আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের পর মাঝে কেটে গিয়েছে আট মাস। এখনও পর্যন্ত মেয়ের মৃত্যুর দগদগে ক্ষত রয়েছে তিলোত্তমার বাবা-মায়ের মনে। তাঁদের জীবনের এই শূন্যস্থান আর কোনোদিন পূরণ হওয়ার নয়! আরজি কর কান্ডের শুরু থেকেই তাঁরা সিবিআই-এর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাধিকবার।
RG Kar কাণ্ডে সামনে এল নিরাপত্তারক্ষীর বক্তব্য
ধরা গলায় তিলোত্তমার মা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, মেয়ের রক্তাক্ত দেহ দেখে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন মেয়ে বিচার না পাওয়া পর্যন্ত মাথার চুল আঁচড়াবেন না তিনি। অন্যদিকে তিলোত্তমার বাবা আদালতের ওপর আস্থা রেখে লড়াই আরও জোরদার করার বার্তা দিয়েছিলেন। অবশেষে তাঁদের আর্জি শুনেছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে অনুমতি পাওয়ার পর এবার আরজি কর মামলা শুনবে কলকাতা হাইকোর্ট। তাই আরজি কর (RG Kar) মামলায় কার্যত নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। যার ফলে বোঝাই যাচ্ছে তিলোত্তমার বাবা-মায়ের অভিযোগের সারবত্তা ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সোমবার হাইকোর্টে আরজি কর মামলা শুনবেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তার আগেই তদন্তের সমস্ত ফাঁকফোঁকড় বুজিয়ে নিতে বাড়তি তৎপর হয়ে উঠেছে সিবিআই।
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এই মামলায় ঘটনার দিন রাতে আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে কর্তব্যরত চার নার্সকে তলব করেছিলেন তদন্তকারীরা। তারপরেই আজ ডাক পড়েছিল আরজি কর হাসপাতালে ‘সেই রাতে’ ডিউটিতে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীদের। তাঁদের মধ্যেই একজন হলেন অমিত নামের এক যুবক। আজ সিবিআই তলবের পর সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সিবিআই তলব নিয়ে টিভি নাইন বাংলা-র অনলাইন সংস্করণে বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ওই নিরাপত্তারক্ষী।
আরও পড়ুন: একি অবস্থা! অক্সিজেন সাপোর্টে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কবে মিলবে জামিন? আদালতে আর্জি
আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী অমিত জানিয়েছেন, ওই ঘটনার দিন রাতে তিনি ট্রমা কেয়ারে ডিউটিতে ছিলেন। সেই রাতে সেখানেই গিয়েছিল আরজি কর কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রায়। তাকে ইতিমধ্যেই তিলোত্তমার ধর্ষণ ও খুনে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত।
প্রসঙ্গত আরজি কর (RG Kar) মামলায় তদন্তের স্বার্থে আগেও সিবিআই-এর জেরার মুখে পড়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষী অমিত। এদিন তিনি জানিয়েছেন তাঁকে আগেও প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু, এদিন আবার তাঁকে ডাকা হয়েছিল। তাই তিনি এসেছিলেন। অমিতের কথায়, ‘আগেও আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু ফাঁকফোকড় ছিল।’ তারপর তিনি নিজেই জনালেন, ‘ফাঁকফোকড় ছিল বলতে আরও ডিটেইলসে জানার প্রয়োজন ছিল।’ তবে সিবিআই গোয়েন্দারা কি প্রশ্ন করেছেন? খুব স্বাভাবিকভাবেই তা এখনই প্রকাশ করতে চাননি অমিত।
অমিত অবশ্য জানিয়েছেন আগে যা প্রশ্ন করা হয়েছিল সেসব প্রশ্ন ছাড়াও বেশ কিছু নতুন প্রশ্ন করা হয়েছে তাঁকে। তাঁর কথায়, ‘আরও অনেক প্রশ্ন ছিল। আরও নতুন সব আছে। সেটা নিয়ে এখন তদন্ত হচ্ছে। টোটাল পাঁচ-ছ’জন ছিল।’ এছাড়াও জানা যাচ্ছে আরজি করের নিরাপত্তারক্ষীর কাছে সঞ্জয় রাইয়ের সেই রাতের গতিবিধি নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে।