বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সকাল থেকে সকলের নজর ছিল সুপ্রিম কোর্টে। সর্বোচ্চ আদালতে (RG Kar-Supreme Court) আর জি কর ( RG Kar) মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলা শুনানির জন্য ওঠে সকাল সাড়ে দশটায়। শুনানির শুরুতেই স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। পাশাপাশি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর তরফেও স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টে।
এদিন প্রথম থেকেই জুনিয়র ডাক্তাররা যে আন্দোলন চালাচ্ছেন তার বিরুদ্ধে সওয়াল করতে শুরু করেন রজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল (Kapil Sibal)। বলেন, জুনিয়র ডাক্তাররা এখনও পর্যন্ত কাজে যোগ দেননি। তাদের কর্মবিরতির জেরে রাজ্যের নানা হাসপাতাল মিলিয়ে চিকিৎসা না পেয়ে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আদালতে দাবি করলেন রাজ্যের আইনজীবী। পাশাপাশি রোগীদের চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে জানানো হয়।
এরপরই আন্দোলনরত চিকিৎসকদের অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়ার কড়া নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, ডেডলাইনও বেঁধে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে বলে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘এর পরেও যদি কোনও চিকিৎসক কাজে যোগ না দেন, তাহলে সেই নিয়ে রাজ্য কোনও পদক্ষেপ করলে আমরা বাধা দিতে পারব না।’’ তবে আন্দোলনরত ডাক্তারদের প্রয়োজনীয় সুযোগসুবিধা জেনে পদক্ষেপ করার জন্য রাজ্যকে বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট তরফে।
এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই মামলায় হস্তক্ষেপ করছে সুপ্রিম কোর্ট (RG Kar Doctor Death Case)। এর আগের শুনানিতে আর জি কর মামলার প্রতিবাদে চিকিৎসকরা যেন কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন সেই আবেদন জানায় সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: ‘আপনাদের দেওয়া তথ্যই তো বলছে..,’ ক্ষুব্ধ বিচারপতি সিনহা, এল বিরাট নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্টের আবেদনের পর দিল্লি এইমস-সহ একাধিক হাসপাতালের চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলে নেন। তবে আর জি করের প্রতিবাদী চিকিৎসকরা এখনও কাজে যোগ দেননি। কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন বলেই জানিয়ে দেন তারা। হাসপাতালের নন এমার্জেন্সি সার্ভিস অর্থাৎ বহির্বিভাগে সমস্ত কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এবার তাদের আন্দোলন দমাতে মরিয়া রাজ্য।